ম্যাডোনা একজন বিরক্তিকর নারী: ট্রাম্প
এম রবিউল্লাহ: মার্কিন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ম্যাডোনার তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকে ডিসগাস্টিং (বিরক্তিকর) বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প উইমেন্স মার্চ নিয়ে ম্যাডোনার বক্তব্যের জন্য তার সমালোচনায় এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটির ট্রাম্পেন সাক্ষাৎকারটি নেন। ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি ম্যাডোনা নিজেকেই বিতর্কিত করে খাটো করে তুলছে। আমি মনে করি এই পরিস্থিতির জন্য ম্যাডোনাই দায়ী। ম্যাডোনা যা বলেছেন তা দেশের জন্যই ঘৃণার বলেও ফক্স নিউজকে বলেন ট্রাম্প।
এর আগে ম্যাডোনা হাজারো জনতার বিক্ষোভে বলেন, হোয়াইট হাউস নিয়ে আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন। হোয়াইট হাউজ সঠিকভাবে পরিচালিত হবে না। আমি অবশ্যই হোয়াইট হাউজের গতি নিয়ে চিন্তিত। ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ম্যাডোনা। তিনি তার ইনট্রাগ্রাম পোস্টে বলেছেন, আমি মোটেও দেশ বিরোধী কোনো বক্তব্য দেইনি। আমি সীমা লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি না। আমি যা বলেছি তা মানুষের জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য বলেছি।
আমি বক্তব্য শুরু করেছিলাম ভালোবাসার কথা বলে। আমি ভালোবাসার বিপ্লবের কথা বলেছি মাত্র। আমি কোনো সীমা লঙ্ঘন বা রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা করে ম্যাডোনা এই জবাব দেন। দ্য হিল। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম
এখনো সমুদ্র বিজয়ের সুফল নিতে পারেনি বাংলাদেশ
সাজ্জাদুল হক: সাগরের নীল জলরাশি যেন সমৃদ্ধির খনি। সমুদ্র বিজয়ের কয়েক বছর পার হলেও এখনও সেই খনি থেকে কোন সুফল অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। গভীর জলরাশিতে বিভিন্ন সম্পদ কি পরিমাণে আছে তাও জানে না সরকার।
এজন্য কারিগরি দক্ষতা আর লোকবলের অভাব রয়েছে। দ্রুত উদ্যোগ না নেয়ায় হাতছাড়া হচ্ছে গভীর সমুদ্রের বিপুল পরিমাণ প্রাণিজ সম্পদ, এমনটা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এক লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই বিশাল জলরাশির গভীরে লুকিয়ে আছে অগণিত প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ। তবে ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির পর দীর্ঘদিনেও কোনো সুফল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিভিন্ন প্রকল্পে আমতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সরকারের অনেক মন্ত্রণালয় এর সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় আলাদাভাবে গঠন করা হয়েছে সেল। নেয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রকল্পও। তবে কারিগরী উন্নয়ন দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ হওয়ায় শুরুতে মৎস্য আহরণে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার জানালেন ব্লু ইকোনোমি সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
প্রতিবছর বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্য আহরণ হয় প্রায় ৮০০ মিলিয়ন টন। এর মধ্যে বাংলাদেশি জেলেদের জালে আসে মাত্র ৭০ মিলিয়ন টন। বাকি মাছ ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভারতীয় জেলেরা। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে বিপুল এই মৎস্য সম্পদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সূত্র : ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি