গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা নিহত ইতালীয় নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ চায় দেশটির সরকার
আজাদ হোসেন সুমন ও সুজন কৈরী : রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিস রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারীতে জঙ্গি হামলায় নিহত ইতালিয় ৯ নাগরিকের পরিবারের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে দেশটির সরকার। এ ছাড়া মৃত্যুর সময় তাদের পরনে যে পোশাক ছিল সেই পোশাকও ফেরত দিতে বলেছে ইতালি সরকার। তাদের সেই পোশাক স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করতে চান তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকার ইতালি দূতাবাস পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে হলি আর্টিজানে নিহত ৯ নাগরিকের বিষয়ে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর সময় তাদের পরনে যে পোশাক ছিল সেটাও ফেরত দিতে বলা হয়েছে। সূত্রমতে, আনুসাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন চিঠির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়-এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে বলেও সূত্রটি দাবি করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রেস্টুরেন্টে থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা। পরে ৩ বাংলাদেশি ও ১৭ বিদেশিকে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরদিন সেনা অভিযানে ১ সন্দেহভাজন ও ৫ জঙ্গি নিহত হয়। তার আগে রাতেই বিদেশীদের হত্যা করে জিম্মিকারী জঙ্গিরা। নিহত ১৭ বিদেশির মধ্যে ইতালির ৯ নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া জাপানের ৭ জন ও ভারতীয় ছিলেন একজন। নিহত ৯ ইতালি নাগরিকের সবাই বাংলাদেশে ব্যবসা করতেন। নিহত ৯ ইতালিয় নাগরিক হলেন- ক্লডিও চাপিলি (৪৫), ক্লদিয়া মারিয়া ডি অ্যাটোনা (৫৬), ভিনসেন ডি এলেট (৪৬), মার্কো তন্দাদ, আদেলি পুগলিশ (৫০), সিমনা মনটি (৩৩), মারিয়া রিবলি (৩৩), ক্রিস্টিয়ান রসি (৪৭) ও মার্কো টোন্ডাট। এদিকে তদন্তকারী সংস্থা কাুন্টার টেররিজম ইউনিটের একজন সদস্য বলেছেন, নিহত কয়েকজনের কাপড় ও মোবাইল ফোন আদালতের অনুমতি ইতিমধ্যে নিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি ওই ঘটনায় ঘটনায় করা মামলাও তদন্তাধীন রয়েছে। সাক্ষ্য সবুদ মোটামুটি শেষ পর্যায়ে চার্জশিট তৈরির কাজ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পুলিশ) মো. নূর ইসলাম বলেন সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়েরই একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, হ্যা এ রকম একটি চিঠির কথা শুনেছি। চিঠিটি প্রসেস করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর জন্য। কারণ এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম