মানহীন রডেই তৈরি হচ্ছে সরকারি স্থাপনা
আরিফুর রহমান: সরকার নির্ধারিত পরীক্ষাগারেই ধরা পড়েছে ত্রুটি। স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে এই রড ভবন নির্মাণে অযোগ্য। তবুও সেই রড দিয়েই তৈরি হচ্ছে সরকারি স্কুল ও স্থাপনা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট আমলে নেননি নির্বাহী প্রকৌশলী বা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি। ইট, সিমেন্টের গাথুনিতে তৈরি হচ্ছে সালেহ আহমেদ চৌধুরী প্রাইমারী স্কুলের দেয়াল। চলছে রড, সিমেন্টের মিশেলে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। চোখের দেখায় এ রড নিয়ে কোন সন্দেহ না জাগলেও গলদটা আসলে এখানেই। সব পরিষ্কার করতে হলে ফিরতে হবে ২০১৬ সালের ১লা ডিসেম্বরে।
এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মাণ হচ্ছে ১ হাজার ৫শ’ প্রাইমারী স্কুল। যার একটি সালেহ আহমেদ চৌধুরী প্রাইমারী স্কুল। ভবনের জন্য প্রস্তাবিত রড পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। রিপোর্টে দেখা যায় ১০ মিলিমিটার রডের পুরোটাই খারাপ।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমর ইমাম বলেন, ‘ঠিকাদারতো চাবেই কাজে ফাঁকি দিতে। এখন সেখানকার যে সাইড ইঞ্জিনিয়ার থাকেন তারা কি কাজ করেন। তারা যদি ঠিকমত কাজের দেখভাল করত তাহলে এই ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হত না। এখানে টেস্ট করতে দিলে ফেল করে। কিন্তু ওখানে রিপোর্ট দেয়া হয় ভাল। ওইখানে যারা কাজ করে তারা যদি ভালভাবে খোঁজ নিত তাহলে ঠিকাদারের বিল আটকে যেত। এলজিইডির কাজে এরকম ঘটনা অহরহ হচ্ছে’। নামসর্বস্ব পরীক্ষা করা হলেও ছাদ ঢালাই করা হচ্ছে
সেই নি¤œমানের রড দিয়েই। এছাড়া রডে যে কোম্পানির নাম রয়েছে সেটিরও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। যে রড পরীক্ষায় মান উত্তীর্ণ নয় সে রড দিয়েই ভবন তৈরি কেন এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সূত্র: যমুনা টিভি