নগরীর কিশোর অপরাধীরা অপ্রতিরোধ্য
আজাদ হোসেন সুমন: দিনে দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠছে বখে যাওয়া কিশোর অপরাধীরা। মাদক, চুরি ছিনতাই, খুন ও অস্ত্রবাজির মত ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোরের দল। জানা গেছে নিজেরা মাদক সেবন করছে এবং অন্যদেরও মাদক সরবরাহকাজে নিয়োজিত আছে এসব কিশোরের দল। বিশেষ করে ইয়াবা সেবনের পাশপাশি ইয়াবার ক্যারিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে নগরীর কয়েকশ’কিশোর। ইয়াবা ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওরা প্রতিপক্ষের ওপর ওরা হামলে পড়ছে। হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বীরদর্পে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। পাড়া-মহল্লায় গ্রুপ বেঁধে চলাফেরা করে ওরা। গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডায় লিপ্ত থাকে। স্কুল-কলেজের মেয়েদের দেখলেই নানাভাবে হয়রানি করে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি না থাকায় তারা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
সূত্র জানায়, একটি চক্র কিশোর অপরাধীদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। অস্ত্রের জোগানদাতাও নির্ধারণ করে ওই চক্র। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাশাপাশি তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে ওরা ব্যবসায়ী, ফুটপাত ও হকারদের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে কিশোর অপরাধী পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা প্রতিপক্ষ মিরাজ গ্রুপের মাহিদুল ইসলাম ইমনকে ছুরিকাঘাতে খুন করে। চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ড ঘটেছে। এলাকার আধিপত্য ও চাঁদা আদায় করা নিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর কদমতলীতে বর্ণমালা আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র রিয়াদুল, মেহেদি হাসান ও আহাদকে ছুরি মেরে আহত করা হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর কামরাঙ্গীরচরে দুই কিশোরের হাতে খুন হয় আলিফ নামের এক কিশোর। ৪ ডিসেম্বর রাতে লালবাগে রবিন নামের এক কিশোরের ছুরিকাঘাতে আবু সালেহ রাব্বী নামের আরেক কিশোর খুন হয়। ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, বলেন, কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশ
পাওয়া গেছে। এলাকাভিত্তিক তালিকা করে ডিএমপির পাশাপাশি পুলিশ সদর দপ্তরকে অবহিত করা হবে। একই কথা বলেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কিশোর অপরাধীদের ততৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় গতকাল সারা দেশে পুলিশ সুপার ও থানার ওসিদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তালিকা করে ওই সব কিশোর অপরাধীকে ধরা হবে। সম্পাদনা: এনামুল হক