যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্বের ঐতিহ্য কি অটুট রাখবে ট্রাম্প-মে?
কমরুল আহসান: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বন্ধুত্ব ঐতিহ্যবাহী। সেই উইনস্টোন চার্চিলের সঙ্গে রোজভেল্ট, ডোনাল্ড রিগানের সঙ্গে মার্গারেট থেচার, বুশ-টনি ব্লেয়ার, ওবামা-ক্যামেরন থেকে সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ালো ট্রাম্প- মে পর্যন্ত। বিদেশি নেতা হিসেবে নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎপ্রার্থী হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শুক্রবার দুজন এক হলেন হোয়াইট হাউসে। থেরেসা মেকে হাত ধরে সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে এলেন ট্রাম্প। দুজনের সান্নিধ্য বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল রিগান আর থেচারের বন্ধুত্বের কথা। সাক্ষাতে ট্রাম্প-মে প্রায় সমস্ত বিষয় নিয়েই এক হলেন। ন্যাটোকে তারা ঢেলে সাজাবেন। এর আগে ট্রাম্প ন্যাটোকে সেকেলে বলে মন্তব্য করেছিলেন। থেরেসা মে তাকে বুঝিয়েছেন ন্যাটোই তাদের নিরাপত্তার প্রধান বলয় এবং ন্যাটোকে শক্তিশালী করতে যা যা প্রয়োজন যুক্তরাজ্য তা করবে। মে’র আশ্বাসবাণী শুনে ট্রাম্পও শেষ পর্যন্ত ন্যাটোকে শতভাগ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যের নীতির বিষয়েও দুজন এক হলেন। ক্রেমলিন আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে অর্থনৈতিক অবরোধ সৃষ্টি করা হয়েছিল সেসবের ব্যাপারে এখনোই কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চাইলেন না। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে দুজনই একমত। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক গড়তে ব্রিটেন আমেরিকার প্রতি আরও বেশি আস্থাশীলতা প্রকাশ করছে। ট্রাম্প আগে থেকেই ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রশংসামুখর। অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে দুজনই কঠোর মনোভাব প্রকাশ করলেন। যেভাবেই হোক মুসলিম সন্ত্রাস ঠেকানোর ব্যাপারে দুজন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন। সবমিলিয়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট না থাকার কোনো কারণ নেই। হয়তো আগামীতে তাদের বন্ধুত্ব পূর্বের বন্ধুত্বগুলোকে ছাড়িয়েই যাবে। সূত্র : সিএনএন