প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পর উন্নয়নের ছোঁয়া শাহ আমানত বিমানবন্দরে
সাজ্জাদুল হক : প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৬ বছর পর বড় ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে। জাপানী দাতা সংস্থা জাইকার প্রায় ২‘শ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তায় রাডার স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। আগামী মার্চে যা চালু হবার কথা।
আর নিজস্ব অর্থে ৬৯ কোটি টাকায় শুরু হয়েছে এপ্রোন তৈরীর কাজ। যা শেষ হবে আগামী বছর। কর্তৃপক্ষের দাবী, এসব কাজ শেষ হলে ফ্লাইট চলাচল অনেক বেশি গতিশীল আর নিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক পরিবর্তন আসবে শাহ আমানতে। যা নিয়ে আশাবাদি বিমানবন্দর ব্যবহারকারীরাও।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা বা এপ্রোচ কন্ট্রোলের কাজটি হয়ে আসছিল ভিউয়ার, আইএলএস আর এনডিবি সিস্টেমে। যে পদ্ধতির রয়েছে সীমাবদ্ধতা। অন্যদিকে, বিমানবন্দরের আশপাশের আকাশ সীমায় ফ্লাইটের অবস্থান বা এয়ারক্র্যাফ্ট ওভারফ্লাইং নিয়ন্ত্রিত হয় ঢাকা থেকে। তবে এক্ষেত্রে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। শাহ আমানতে বসছে এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস রাডার। যা চালু হলে ফ্লাইট চলাচল অনেক বেশি সহজ আর অবস্থান সনাক্তের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাড়বে আকাশে। নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে প্রায় ২শ নটিকেল মাইল পর্যন্ত। এই রাডার স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এছাড়াও প্রায় ৯ একর জায়গায় নতুন একটি এপ্রোন তৈরী হচ্ছে। ২০১৮ সালে যার নির্মাণকাজ শেষ হলে বিমানবন্দরে একসাথে ফ্লাইট অপারেশনের সংখ্যা উন্নীত হবে অন্তত ১২-তে। যা এখন রয়েছে মাত্র ৮টি। উন্নয়নের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবহারকারিরা বলছেন, এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশে বাড়বে এই বিমানবন্দরের গ্রহণযোগ্যতা। এদিকে, শাহ আমানতের রানওয়ে সম্প্রসারণ আর নতুন ট্যাক্সিওয়ে ও একটি টার্মিনাল ভবন নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরুর কথাও জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। -চ্যানেল টোয়েন্টিফোর