ভারতজুড়ে রেল দুর্ঘটনার পিছনে আইএসআই তদন্তে নিশ্চিত এনআইএ
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে : গত ৩ মাসে ৪ টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ভারতে। প্রাথমিক তদন্তে এনআইএ নিশ্চিত যে এই দুর্ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। এই ৪ টি রেল দুর্ঘটনায় ২০০ জনেরও বেশী নিহত হয়েছেন। এনআইএ এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বিহারে ধৃত ৩ পাকিস্তান চরকে পুলিসের করা জিজ্ঞসাবাদের উত্তর শুনেই। তারা পুলিসি জেরাতে কানপুর এবং ঘোরাসানের ঘটনায় অন্তর্ঘাতের কথা স্বীকার করেছে। এই মিহুর্তে সারা দেশ জুড়ে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে দেশ জুড়ে তোলাপাড়।
ডিসেম্বরে বিহারের মোতিহারিতে গ্রেফতার হয় তিন আ্ইএসআই এজেন্ট। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিহার পুলিস নিশ্চিত হয় ঘোরাসান এবং কানপুরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা ওআইএসআই-এর। এরপরই ঘোরাসান, কানপুর এবং হীরাখণ্ড এক্সপ্রেস কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। প্রাথমিক তদন্তের পর বিহারের পুলিসের সঙ্গেই একমত ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। এনআইএ-এর দাবি, ধৃত ৩ আইএসআই চর জেরায় ঘোরাসান এবং কানপুরে অন্তর্ঘাতের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতদের কল লিস্ট খতিয়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত, তারা নিয়মিত তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। নেপালি হ্যান্ডলার ব্রিজকিশোর গিরি, দুবাইয়ের এজেন্ট শামসুল হুদা এবং করাচির আইএসআই এজেন্ট সফি শেখের সঙ্গে বহুবার তাদের কথা হয়। গত অগাস্টে দুবাইয়ে হুদা এবং সফির সঙ্গে ভারতে ট্রেনে নাশকতার বিষয়ে আলোচনা হয় ধৃতদের ।ঘটনায় করাচির বাসিন্দা এনআইএ ঘনিষ্ঠ এক ডনের নামও উঠে আসছে। কানপুরের ঘটনায় স্থানীয় এনআইএ সমর্থকদের ব্যবহার করা হয়েছে বলে আশঙ্কা। অন্ধ্রে হীরাখণ্ড এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পিছনেও অন্তর্ঘাতের বিষয়ে নিশ্চিত এনআইএ। ধৃত তিন পাক চরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনআইএ। তাদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নেপালি এজেন্ট গিরি, এবং দুই পাক এজেন্ট হুদা এবং সফির প্রত্যর্পণের দাবি জানাতে চলেছে এনআইএ।