বরিশাল ও সিলেট পুলিশ লাইনে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব
সাইদ রিপন: বরিশাল ও সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং রেঞ্জ রিজার্ভ (আরআরএফ) পুলিশ লাইন আধুনিকায়ন করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় থাকা এ দুটি লাইনে নতুন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বেশকিছু সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। একনেকের অনুমোদন পেলে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পুলিশ এবং গণপূর্ত অধিদফতর।
প্রকল্পের আওতায় দুইটি পুলিশ লাইনে মোট চারটি অফিস ভবন, ৮টি কোয়ার্টার, ৪টি বাংলো, ৪টি মাল্টিপার্পাস ভবন, ৪টি এমটি গ্যারেজ, ৪টি অস্ত্রাগার কমপ্লেক্স, ৪টি সার্ভিস ব্লক, ৪টি মসজিদ, ৪টি ৩০০ কেভিএ সাব-স্টেশন ও ৫০ কেভিএ জেনারেটর এবং প্রতিটি পুলিশ লাইনে প্যারেড গ্রাউন্ড, গোল ঘর, সেন্ট্রি পোস্ট, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রেন, বহিঃপানি সরবরাহ লাইন, অভ্যন্তরীণ রাস্তাসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষা এবং নাগরিকদের জান-মাল রক্ষার দায়িত্ব বাংলাদেশ পুলিশের। দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের পরিবার থেকে দূরে ব্যারাকে থাকতে হয়। কিন্তু কর্মপরিবেশ ও আবাসনের সুবিধা উন্নত না হলে পুলিশের কাছ থেকে কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়া কঠিন। পুলিশ লাইনসহ অন্যান্য স্থানে পুলিশের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট ও বরিশালে এপিবিএন ও আরআরএফ পুলিশ লাইনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এখানে অবকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণের জন্য সিলেট ও বরিশালের এপিবিএন ও আরআরএফ পুলিশ লাইনে অফিস ও আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য সুবিধা নির্মাণের জন্য এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, বিদ্যমান সিলেট ও বরিশালে এপিবিএন ও আরআরএফ পুলিশ লাইনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এখানে পুলিশ লাইনসহ অন্যান্য স্থানে পুলিশের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পুরাতন অবকাঠামো বাদ দিয়ে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উন্নত অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের জন্য অনুকূল কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। সম্পাদনা: শারমিন আজাদ