যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম অভিবাসী প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন ট্রাম্প
মারুফ আহমেদ: আগামী চার মাস যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ৭টি দেশও বিদ্যমান। তার এ নিষেধাজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হিসেবে দেখা হচ্ছে। -খবর, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট (লন্ডন)। এতে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দুটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর একটি হলো শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা নিয়ে। অন্যটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী পুনর্গঠন নিয়ে। শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্বাহী আদেশটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে মৌলবাদী সন্ত্রাস বন্ধের উদ্দেশ্যে বলে বলা হচ্ছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা হবে অস্থায়ী। সিরিয়ার যেকোনো মানুষ অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। তবে সিরিয়ার খ্রিস্টানদের বেলায় এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। এমন কথা তিনি এক সাক্ষাৎকারে খ্রিস্টিয়ান ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক (সিবিএন)কে বলেছেন।
টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ার শরণার্থীদের মধ্যে যারা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কেবল তাদের ভবিষ্যতে শরণার্থী মর্যাদা দিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জেনারেল জেমস মাটিসকে পেন্টাগনে শপথ পড়ানোর পরই এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামি সন্ত্রাসীদের দূরে রাখতে আমি নতুন ভেটিং পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি। আমরা কেবল তাদেরই আমাদের দেশে আসতে দেব, যারা আমাদের দেশকে সমর্থন করে এবং আমাদের জনগণকে গভীরভাবে ভালোবাসে।’
নির্বাহী আদেশটি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টা পর এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়। নতুন ভেটিং ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- শরণার্থী গ্রহণ প্রকল্প ১২০ দিনের জন্য স্থগিত, সিরিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত সে দেশের শরণার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ইরাক ও সিরিয়াসহ যেসব দেশের ব্যাপারে উদ্বেগ রয়েছে, সেসব দেশ থেকে ৯০ দিনের জন্য লোকজনের ভিসা স্থগিত, ভবিষ্যতে ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দান ইত্যাদি। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম