উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষাখাতে যত বরাদ্দই হোক তা ব্যয় নয়, এটা আমার কাছে মনে হয় বিনিয়োগ। এজন্য দেশের বিত্তশালীদেরকে শিক্ষাখাতে ব্যয় করার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী সম্পদশালীদের প্রত্যেককে নিজ নিজ গ্রামের স্কুলগুলোতে একটি করে ল্যাপটপ ও একটি করে প্রজেক্টর উপহার দেওয়ার জন্য বলেন।
গতকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এবারের শিক্ষা সপ্তাহের স্লোগান শিক্ষার আলো জ্বালবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো’।
প্রধানমন্ত্রী সমাজের বিত্তশালী ও বিত্তশালী সংসদ সদস্যদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করতে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেন। এছাড়া স্কুলগুলোতে ভালো টিফিন দিয়ে সহযোগিতা করতে বললেন বিত্তশালীদের। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য ৫টি গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় লেখা ৮ ধরনের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রাতিষ্ঠানিক বই পুস্তক পড়ানোর পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও কাব স্কাউটিংসহ সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শুধু পড়া পড়া করে শিশুদের বিরক্ত না করে এসব কর্মকা- করলে শিশুদের মধ্যে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।
শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের জন্য দেশে বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আপনাদের এই পেশা মহৎ পেশা। আপনারা সোনার ছেলে গড়ার কারিগর। ২০১৭ সালের মধ্যে দেশের ৫০ হাজার বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের চাকরি সরকারিকরণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কৃত করেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, একটা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। সে শিক্ষা নীতিতে আমরা ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি। সব ধর্মের সম্পর্কে সবারই জ্ঞান থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আমরা সকলে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবো। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু