পার্বত্যাঞ্চলে ৩টি স্থলবন্দরসহ নদী খননের সিদ্ধান্ত নৌ-মন্ত্রণালয়ের
ফারুক আলম: পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিনটি জেলায় (খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি) একটি করে স্থলবন্দর তৈরির পাশাপাশি নদীগুলো খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়।
গতকাল সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণ, নাব্য বৃদ্ধি এবং স্থলবন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত সভা শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ তথ্য জানান। পার্বত্য জেলার অনেক নদী ভরাট হয়ে গেছে এ কথা জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, নাব্য ফিরিয়ে আনতে বিআইডব্লিউটিএ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, জেলা পরিষদ, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ এ ব্যাপারে সহায়তা করবে। আর কাচালং, মাইনি, ইছামতি, কর্ণফূলি, চেংনি, মাতামুহুরি, সাঙ্গু, ফেনী ও হালদাসহ শাখা নদীগুলোও খনন করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, খাগড়াছড়ির রামগড়, বান্দরবানের ঘুমধুম ও রাঙ্গামাটির তেগামুখ এলাকায় স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কারণ রামগড়ের ওপাশে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দর, ঘুমধুম স্থলবন্দরের ওপাশে মিয়ানমারের তুমব্র এবং তেগামুখ বন্দরের ওপাশে ভারতের মিজোরামের দেমাগ্রী এলাকা। নৌপরিবহনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী উ শৈ সিং, নৌপরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু