ইভটিজিং বিষয়ে সামাজিক শিক্ষা প্রয়োজন
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিতে যাচ্ছে। এই ব্যাধি থেকে মুক্ত হতে হলে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই ইভটিজিং সম্পর্কে সবাইকে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। কারণ অনেক বড় বড় ঘটনা ইভটিজিং এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। দেখা যায়, মেয়েদের স্কুল, কলেজ বা বিভিন্নস্থানে আসা যাওয়ার সময় ছেলেরা প্রথমে ইভটিজিং করে। তারপর ধীরে ধীরে এর মাত্রা বাড়ে।
ইভটিজিং এর শিকার মেয়েটি পরিবারের কাছে বা পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে বলে থাকে। কিন্তু ছেলে খেলা বলে পড়শীরা এটা উড়িয়ে দেয়। বাবা-মাও মেয়েকেই শুধু সতর্ক করে,যা কোনোভাবেই ঠিক নয়। শিশু সংগঠক লাভলী বায়েজীদ জানান, ইভটিজিং আগেও হতো। এখনো হয়। আগে সামাজিক বন্ধন শক্ত ছিল। তখন এটি খুব বড় আকার ধারণ করতো না। কোনো মেয়েকে বেশি মাত্রায় উত্ত্যক্ত করলে সেই মেয়েটি পাড়া বা মহল্লার বড় ভাই, চাচা মামাদের কাছে বললেই সমাধান হয়ে যেতো। এখন কিন্তু সেরকম নয়। এখন কার মেয়ে কার ছেলে, কে কাকে উত্ত্যক্ত করছে-এটা কেউ দেখতেই চান না। সমাজের মানুষগুলো নিজের মধ্যে থাকতে শুরু করেছে। কেউ যেন কোনো দায়িত্ব নিতে চান না। ফলে ইভটিজিং বাড়ছে। আমি মনে করি ইভটিজিং সম্পর্কে ধারণা প্রত্যেকের থাকতে হবে। এখানে সামাজিক শিক্ষা খুব প্রয়োজন। আসলে কোন পর্যন্ত ইভটিজিংটা নেওয়া যাবে -আর কোন পর্যন্ত নেওয়া যাবে না, কখন প্রতিরোধ করতে হবে? তার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।