রিকু আমির: এবারের একুশে বই মেলার ভিতর ও বাইরে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি ও পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এবার উচ্চ মানের ২৭০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করছে। এসব ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হবে তিনটি পৃথক সেল থেকে। এসব হচ্ছে- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম, বাংলা একাডেমি আঙ্গিনায় স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও শাহবাগ থানা।
শাহবাগ থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, খুব হিসাব-নিকাশ করে ক্যামেরাগুলো বসানো হচ্ছে। একজন ব্যক্তি, তিনি যেখান দিয়েই যান না কেন, প্রতিটি ক্যামেরার কভারেজে আসবে। ফাঁকি দেবার সুযোগই নেই। এবারের ক্যামেরাগুলো গতবারের ক্যামেরার চেয়ে অধিক উন্নতমানের।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বইমেলার স্থানে বসানো হয়েছে বেশকিছু ল্যাম্পপোস্ট। এসবে রয়েছে- উচ্চ আলো সৃষ্টিকারী এনার্জি লাইট। ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বইমেলার উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাতিগুলো স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে। সবমিলিয়ে কমপক্ষে ২৫০ বাতি লাগানো হয়েছে বইমেলার দুই আঙ্গিনায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বইমেলার আঙ্গিনা ছাড়াও শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি থেকে টিএসসি, ফুলার রোড, পলাশী চত্বর এলাকায় সিটি করপোরেশন স্থাপিত ল্যাম্পপোস্টে থাকা সব বাতিও ব্যবহার করা হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খাতিরে। এজন্য বাতি ঠিকঠাক আছে কি-না দেখে প্রতিস্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে, বাংলা একাডেমি আঙ্গিনায় প্রবেশের জন্য দুইটি ও সেখান থেকে বের হবার পথ একটি করা হয়েছে। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী আঙ্গিনায় প্রবেশের জন্য ৩টি ও বাইর হতে ৩টি পথ করা হয়েছে। প্রতিটি পথে থাকবে স্ক্যানার, তল্লাশির ব্যবস্থাও।
অন্যদিকে, গত বছরের বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে কাঠ-বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়া হলেও এবার দেয়া হয়েছে টিন। নিরাপত্তার জন্য শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ফুটপাতে ও বইমেলার অভ্যন্তরে বসতে দেয়া হচ্ছে না কোনো খাবারের দোকান। তবে বিশেষ কারণে- বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আঙ্গিনায় পর্যটন করপোশনের দুটো দোকান বসানো হচ্ছে। এখানে সহনীয় মূল্যে খাবার বিক্রি করা হবে। এছাড়া অন্যবারের মতন এবারও ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছে ডিএমপি।
শাহবাগ থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে কোনো অঘটন বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। পুলিশ তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়েই মেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু