হাসান আরিফ: চীনের সহায়তায় দেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমস হাউজে ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে কন্টেইনার স্ক্যানিং সিস্টেম চালু হবে। এতে কম সময়ের মধ্যে অবৈধ মালামাল দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এতে অবৈধ পণ্যও আমদানি বন্ধ হবে।
চট্টগ্রাম, মংলা, আইসিডি কমলাপুর ও বেনাপোলে কন্টেইনার স্ক্যানিং সিস্টেম বসাতে মোট ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে চীনের সহায়তা হচ্ছে ৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর সরকারি অংশ হচ্ছে ২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য অবৈধ বা নিষিদ্ধ ঘোষিত মালামালের চালান ও মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি প্রতিরোধ এবং বন্দরে মালামাল চেকিংয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনা।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমান বন্দরের রপ্তানি কার্গো এলাকায় কন্টেইনার স্ক্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু বেনাপোল কাস্টমস হাউজ, আইসিডি কমলাপুর ও মংলা কাস্টমস হাউজে কোনো স্ক্যানার নেই। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেনাপোল কাস্টমস হাউজ, মংলা কাস্টমস হাউজ ও কমলাপুর আইসিডি কাস্টমস হাউজকে স্ক্যানিং সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।
সূত্র জানায়, কন্টেইনার স্ক্যানিং সিস্টেম চালুর মাধ্যমে এসব বন্দরে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের পোর্ট সিকিউরিটির বিভিন্ন ধারা বা কোড অনুসরণ করা হবে। এ সিস্টেম চালু হলে এটা বৈধ ব্যবসার জন্য যেমন সহায়ক হবে, তেমনি অবৈধ মালামালের চালান প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে। চলতি বছর মধ্যভাগে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এনবিআর সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের চারটি কাস্টমস হাউজে কার্গো হ্যান্ডলিং সহজতর ও নিরাপদ হবে এবং সময় কম লাগবে। কাস্টম হাউজগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, যা বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রকল্পটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ নাও হতে পারে বলে একই সূত্র জানিয়েছে। সম্পাদনা: উম্মুল ওয়ারা সুইটি