অস্কারে যোগ না দিতে আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে: আসগার ফারহাদি
রাশিদ রিয়াজ: অস্কার মনোনীতি ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক আসগার ফারহাদি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাতটি দেশের মুসলিম অভিবাসী নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অস্কার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। এর আগে আরেক ইরানি অভিনেত্রী তারানে আলিদুসতি একই কারণে অস্কার অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্র যে সাতটি দেশের মুসলিম অভিবাসীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তার মধ্যে ইরান রয়েছে।
আসগার ফারহাদি পরিচালিত ‘দি সেলসম্যান’ চলচ্চিত্রটি বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের জন্যে মনোনীত হয়। এএফপির কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে আসগার ফারহাদি বলেন, অস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে তার ছিল কিন্তু এখন সে ইচ্ছা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, অস্কার অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। এধরনের অনুষ্ঠান বয়কট করার কোনো ইচ্ছেও আমার নেই। কারণ আমি জানি যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র শিল্প ও এ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্স চরমপন্থা ও ধর্মান্ধতার বিরোধিতা সবসময় করে। কিন্তু এধরনের চরমপন্থা ও ধর্মান্ধতারই বহি:প্রকাশ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
তিনি বলেন, অস্কার অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়া আমার কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না কিন্তু তাতে আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে। কট্টোরপন্থীদের সমালোচনা করে আসগার ফারহাদি বলেন, তারা সবসময় তাদের জনগণের মধ্যে অবাস্তব কিছু চাপিয়ে দিয়ে ভীতি সৃষ্টি করতে চায়। বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যে এধরনের মতভেদ ও শত্রুতার কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে চরমপন্থীরা সবসময় ভীতি ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন পন্থা ব্যবহার করে এবং এধরনের কার্যকলাপ সংকীর্ণমনা ব্যক্তির গোড়া আচরণের প্রকাশ।
ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া ও সুদানকে বিপদজনক রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব দেশের অভিবাসীদের তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইরান ও আমেরিকার চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন ন্যাশাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের সভাপতি ত্রিতা পার্সি টুইটারে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার কারণে আসগার ফারহাদি যে দেশটিতে অস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম