রাশিদ রিয়াজ: লন্ডনের মেয়র সাদিক খান স্কাই নিউজকে বলেছেন, খুবই পরিষ্কারভাবে বলছি ৭টি দেশের মুসলিম অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিষ্ঠুর ও লজ্জাজনক। এরপর আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লালগালিচা সম্বর্ধনা দিতে পারি না। তিনি যখন অভিবাসী নিষিদ্ধের ঘোষণায় অবস্থান করছেন তখন ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি কিভাবে আসতে পারেন তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক অবস্থান নিয়েছে যে তা মূল্যবোধের মুখে মাছি পড়ার সমান।
সাদিক খান বলেন, আমি খুব খুশি হব যদি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এখন বলেন, ব্রিটিশ সরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিম অভিবাসী নীতির সঙ্গে একমত নয়। কারণ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত অনেক ব্রিটিশ নাগরিককে আঘাত করবে যাদের ্ৈদ্বত নাগরিকত্ব রয়েছে। এমনকি লন্ডনে জন্ম নেওয়া অনেকেই এ ধরনের নিষিদ্ধের সারিতে পড়ে গেছে। আর আমি সরকারের সঙ্গে লন্ডনবাসির হয়েই কাজ করি।
থেরেসা মে এখন প্রচ- চাপের মুখে রয়েছেন। তার দল ও বিরোধী দলের অনেকে থেরেসা মে’কে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্যে চাপ দিচ্ছেন। লাখ লাখ মানুষ ইতোমধ্যে ব্রিটেনে ট্রাম্পের সফরের বিরুদ্ধে এক অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছে।
থেরেসা মে ট্রাম্পের এ ধরনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয় বলে জানান তার একজন মুখপাত্র। লেবার পার্টি নেতা জেরিমি করবিন বলেছেন, থেরেসা মে যদি ট্রাম্পের অভিবাসী নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের নিন্দা না জানান এবং তার সফরকে বাতিল না করতে পারলে তিনি ব্যাপক জনসমর্থন হারাবেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পকে ব্রিটেনে স্বাগত জানান উচিত নয় কারণ তিনি আমাদের মূল্যবোধের অংশীদারিত্বে আঘাত হেনেছেন ও শরণার্থী ও নারী অধিকারকে খাটো করেছেন। যা ব্রিটিশরা আশা করে না।
তবে ব্রিটেন থেরেসা মের অফিস থেকে বলা হয়েছে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। ডেইলি স্টার ইউকে