উম্মুল ওয়ারা সুইটি: শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭’। আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বাংলা একাডেমি চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলার উদ্বোধন করবেন। একই সময় তিনি ৪দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৭’র উদ্বোধন এবং ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬’ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন বলে বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে। একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এই প্রতিবেদককে জানান, বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদ সিন্ধু’র অনুবাদ ‘ওসেন অব সরো’ এবং জার্মানি থেকে প্রকাশিত ‘হানড্রেড পোয়েমস ফ্রম বাংলাদেশ’ বই দুটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
চীনের প্রখ্যাত গবেষক ও রবীন্দ্র অনুবাদক ডং ইউ চেন, অস্ট্রিয়ার মেনফ্রেড কোবো, পুয়ের্তোরিকোর লুস মারিয়া লোপেজ ও ভারতের চিন্ময় গুহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এরমধ্যে ডং ইউ চেন বাংলায় বক্তৃতা করবেন।
একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার একাডেমি চত্বরে ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ১১৪টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪৯টি ইউনিটসহ মোট ৪০৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৬৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা সংস্থাকে মোট ৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫টি প্যাভিলিয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমির ২টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এছাড়া ১শ’ লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউসের দক্ষিণ পাশে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়,সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু কর্ণারকে এবারও বেশ আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে। ৬০ ইউনিট নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পুরো চত্বর এবং নানা রঙ বেরঙের লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রতি শুক্র ও শনিবার থাকবে শিশু প্রহর। একাডেমির মূলচত্বর ও একাডেমি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৪ লাখ স্কয়ার ফুট জায়গা নিয়ে গ্রন্থমেলার আয়োজন করা হয়েছে এবং উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে সজ্জিত করা হয়েছে।
মহাপরিচালক জানান,বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো মেলার তথ্যাদি প্রতিদিন সরাসরি সম্প্রচার করবে। গ্রন্থমেলার খবর নিয়ে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি বুলেটিন প্রকাশিত হবে। জানা গেছে, গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশ পথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের আটটি পথ থাকবে। মেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম