উম্মুল ওয়ারা সুইটি: যৌতুক দিতে না পারায় মেয়েকে আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এটার প্রমাণও পাওয়া গেছে। শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় মামলা করা হয়েছে। গত ৬ বছরেও কোনো সুরাহা হয়নি। এতোদিন সাক্ষীরা বিগড়ে বসেছে। কারণ আসামিপক্ষ সাক্ষীদের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দেখিয়ে মত পাল্টে ফেলেছে। এখন আমরা পড়েছি বিপদে। এভাবে মেয়ের চিকিৎসা খরচ চালানো আর মামলার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ।
কথাগুলো বললেন দিনাজপুরের কুসুমের বাবা দীনেন্দ্র। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি এক লাখ টাকা খরচ করে। তখনই কিছু জমি ও গরু বিক্রি করেছি। এক বছর থেকে আবার শুরু হয় টাকা দেওয়ার চাপ। ততদিনে মেয়ের ঘরে একটা নাতি হয়েছে। আমার কাছে কোনো টাকা নেই-একথা বলায় মেয়ের উপর চলতে থাকে অত্যাচার অবিচার। অনেক কষ্টে ২০ হাজার দিয়েছি। এরমধ্যে মেয়ের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্য লোকজন কুসুমের উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতে থাকে। আগুন থেকে খড়ি পোড়ানো দিয়ে মেয়ের পিঠে ছ্যাঁকা দেয়। এটা এলাকার অনেকেই দেখেছে। মামলা হলো। আজ ৬ বছর। বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। প্রথমে আসামিপক্ষ পলাতক ছিল। দুই বছর পর তারা সমঝোতা করে থানায় আত্মসমর্পণ করে এবং দুই মাস পর জামিনে বেরিয়ে আসে। এখন আমি পড়েছি মহাবিপদে। মেয়ে ও নাতিকে আমার দেখতে হচ্ছে। আবার মামলার নিষ্পত্তি নেই। অনেকেই বলছে, মামলা না করাই ভালো ছিল।