ইমরুল শাহেদ: ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলে রোরাইমা কারাগারে দাঙ্গায় নিহত হয়েছে ৩৩ জন বন্দী। এর আগে অপর একটি কারাগারে দাঙ্গায় নিহত হয় ৬০ জন। দেশটির বিচার সচিবের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মন্টি ক্রিস্টোর এ্যাগরিকালচারাল পেনিটেনশিয়ারিতে এই ঘটনা ঘটেছে। এর বেশি আর কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কারাগারে সশস্ত্র দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সামরিক পুলিশের একজন মুখপাত্র এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি। এই কারাগারে দাঙ্গা হওয়ার আগে আমাজানের দুটি কারাগারে দাঙ্গায় নিহত হয়েছে ৬০ জন। কর্তৃপক্ষ বলেছেন, মাদক পাচারের পথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়েই এসব দাঙ্গা হচ্ছে। কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, পেরু ও ঘানার সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক পাচার হয়ে থাকে। দাঙ্গাকারীদের প্রত্যেক দলই এসব পথের নিয়ন্ত্রণ পেতে চায়। রোববার ও সোমবার যে চারটি কারাগারে এ পর্যন্ত দাঙ্গা হয়েছে সেগুলো আমাজনের আশপাশেরই রাজ্য। ১৯৯২ সাল থেকেই কারাগারে এ ধরনের রক্তপাত শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ জনকে শিরñেদও করা হয়েছে। আরেকটি দাঙ্গায় নিহত হয়েছে চার জন বন্দী। দাঙ্গার গোলযোগের মধ্যে আমাজনের কারাগার থেকে ১৮৪ জন বন্দী পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাত্র ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাও পাওলোর ফার্স্ট কমান্ডের ওপর হামলা চালিয়েছে ‘ফ্যামিলি অব দি নর্থ’ নামের একটি গ্রুপ। কারাগার নিয়ন্ত্রণে নেওয়া এবং উত্তর ব্রাজিলের মাদক পাচার পথের নিয়ন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে দাঙ্গা হয়ে থাকে। মন্টি ক্রিস্টোর এই কারাগারে শুক্রবারের দাঙ্গায় নিহত হয়েছে আরও ১৮ জন। সূত্র : নিউজ ডটকম, অস্ট্রেলিয়া। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম