ইমরুল শাহেদ: ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে উগ্রপন্থীদের বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে তার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই নির্দেশ সামুদ্রিক এলাকায় অপহরণের জোয়ার থামাতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে নিরাপরাধ মানুষের জীবন সংহার, যে কোনো ধ্বংসযজ্ঞের মতোই কাজ। নিউজ ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষকে তাদের সেনাবাহিনীর সামনে জঙ্গিরা পড়লেই তাদের ধ্বংস করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে তিনি বলেছেন। দক্ষিণ ফিলিপাইনের সামুদ্রিক অঞ্চলে এই তিন দেশেরই স্বার্থ রয়েছে এবং এখান থেকেই নাবিকরা অপহরণ হচ্ছেন। এবার তিনি নিজেই সেই নির্দেশ দিয়েছেন।
দুতার্তে বলেছেন, তিনি তার নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডদের বলেছেন ‘চোখের সামনে অপহরণকারী পড়লেই এবং তারা পালাতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবাইকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে হবে।
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাবাওতে ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘তারা বলে জিম্মি’। কিন্তু ঘটনা একই। এই পদ্ধতিতেই জঙ্গিরা সরকারকে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য করতে পারে। ‘কেউ তার ভুল কাজের জন্য সুদীর্ঘ সময় লাভবান হতে পারে না। আমি তোমাদের সত্যিকার অর্থেই উড়িয়ে দেব,’ বলেন দুতার্তে। তিনি অপহরণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকলকে সতর্ক করে দেন। তিনি ফিলিপাইনের সকলকে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি তাদের সমান সাহসিকতা দেখাতে বলেছেন। বিশেষ করে আবু সায়াফ গ্রুপের অপহরণ থেকে সজাগ থাকার জন্য এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যিক স্বার্থে সামুদ্রিক এলাকাকে নির্বিঘœ রাখার জন্য। পক্ষান্তরে আবু সায়াফ গ্রুপ দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ক্যাপ্টেন ও ফিলিপাইনের কয়েকজন ক্রুকে তাদের কার্গো থেকে তিন মাস আগে অপহরণ করেছিল। গত সোমবার তাদের মুক্তি দেয় এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি। আবু সায়াফ এসব অপহৃতদের মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের কাছে হস্তান্তর করে। তারা হস্তান্তর করে মুসলিমপ্রধান সুলু প্রদেশের জুলুর সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ্।ে মরো বিদ্রোহীরা ১৯৯৬ সালে সরকারের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তারাই ছোটখাট অপহরণের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করে থাকে। তবে আবু সায়াফ গ্রুপ যুক্তরা্েষ্ট্রর সন্ত্রাসী তালিকায় কৃষ্ণতালিকাভুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তারা অপহরণ, শিরñেদ এবং বোমা হামলার মতো বিধ্বংসী অপকর্মে লিপ্ত আছে। সূত্র : নিউজডটকম, অস্ট্রেলিয়া। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম