এক ব্যক্তি সাতটি ফ্ল্যাট বাড়িতে স্বামী পরিচয়ে ভাড়া খাটেন রাজধানীতে ভাড়ায় মিলছে স্বামী!
বিপ্লব বিশ^াস: চুক্তি করে ভাড়াতেই এখন মিলছে স্বামী! ভাড়ায় স্বামীর এই ব্যবসা বেশ রমরমা এখন রাজধানীজুড়ে। অনেক সময় ছোট-খাটো বিভিন্ন প্রয়োজনে ‘স্বামী ভাড়ার’ এই ব্যবসা চললেও মূলত এই চুক্তি সমাজের চোখের আড়ালে রমরমা যৌন বাণিজ্য চালাতেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘জনপ্রিয়’। দিনপ্রতি কমপক্ষে ১শ টাকা থেকে শুরু করে মাসে তিন থেকে থেকে পাঁচ-সাত হাজার (স্থান-কাল পাত্র ভেদে কিছু ক্ষেত্রে দশ-বিশ হাজার) টাকায় এসব স্বামী ভাড়ার চুক্তি হয়ে থাকে। তবে এর চেয়েও অবাক করার মতো বিষয় হলো একই পুরুষ ভাড়ায় খাটেন একাধিক নারীর স্বামী পরিচয়ে। বর্তমানে এসব ভাড়ায় পাওয়া স্বামীর কিছুটা অপ্রতুলতার কারণে পেশাদার ‘ভাড়াটে স্বামীদের অনেকেই একাধিক এমনকি পাঁচ-সাতজনের ভাড়াটে স্বামী হিসেবেও চালিয়ে যাচ্ছেন এই বাণিজ্য।’ অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই ব্যক্তির পাঁচ-সাতটি ফ্ল্যাট বাড়িতে স্বামীর পরিচয়ে ভাড়া খাটার বিষয়টি। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে মোজাফফর নামের এক ভাড়াটে স্বামীর গল্পে। তিনি একাই ৮ নারীর স্বামী হিসেবে ভাড়া খাটেন। ভাড়া খাটার শর্ত হচ্ছে, সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন স্বামী পরিচয়ে বাসায় অবস্থান করতে হবে, আর বাসার বাজারও করে দিতে হবে। বাসায় অবস্থান করা ও বাজার করার শর্ত দেওয়ার মানে হচ্ছে যাতে আশপাশের ভাড়াটিয়া লোকজন কোনো প্রকার যাতে সন্দেহ না করে। এ ধরনের কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাসে তাদের কারও ভাড়াই পাঁচ হাজারের নিচে নয়, এর চেয়ে বেশিও আছে ২০-৩০ হাজার পর্যন্ত। আর কেউ কেউ নিজেই সবকিছু পরিচালনা করে মাসে গুণছেন কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত।
তারা আরও জানায়, মূলত বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে বলা হয় বাসায় নিয়মিত থাকবে তার স্ত্রী ও দুই বা তিন বোন। ওই বোনদের থাকার কথা বলে জায়েজ করে নেওয়া হয় আরও দু-তিনজন যৌন কর্মীকে। এভাবেই রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে চলছে যৌন বাণিজ্য। অনলাইনে পাওয়া ঢাকার একটি স্কট সার্ভিসের সাইট থেকে সংগ্রহ করা ফোন নাম্বার। এরপর অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া যায় এ তথ্য। কথা হয় বরিশাল বরগুনার শরিফুলের সাথে। তিনি জানান, প্রায় একযুগ আগে কাজের সন্ধানে রাজধানীতে আসেন তিনি। তার পরিবার নিয়ে থাকেন লালবাগে একটি ভাড়া বাসায়। দুই মেয়ে ও এক ছেলে আর স্ত্রী নিয়ে সংসার তার। অনুসন্ধানকালীন বিভিন্ন সময়ে আলাপকালে শরিফুল জানায়, শুরুতে একাই এসেছিলেন ঢাকায়। মিরপুরে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন তিনি। সেখানে কাজের সুবাদে পরিচয় হয় হাসিনা নামের এক তরুণীর সাথে। একসময় কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়ে দুজনেই। বাসায় খরচ পাঠানো তো দূরের কথা- ঢাকায় নিজেদের থাকা-খাওয়াই অসম্ভব হয়ে যায় তাদের। অনেক ভেবে চিন্তায় কুল-কিনারা না পেয়ে আলাদা আলাদা খরচ বাচাতে বিয়ে না করেও দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে উঠে মোহাম্মদপুরে এক ভাড়া বাসায়। এরপর খরচ জোগাতে সহজ পথেই বেছে নেয় যৌন ব্যবসার পথ। মোবাইল ফোন কিছুটা সহজলভ্য হওয়ার সুবাদে প্রথমদিকে ধারে-কাছের পরিচিতজনদের নানা কৌশলে ফোনে আমন্ত্রণ জানিয়ে শরিফুল খদ্দের ম্যানেজ করতো। শুরুর দিকে সপ্তাহে তিনচারজন খদ্দের যোগাড় হলেই বেশ চলে যেত তাদের খরচ। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম