তরিকুল ইসলাম সুমন : পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভুল ও ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পেছনে না ছোটার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনোভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়। যে সব জায়গা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব জায়গা কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সন্দেহে যাদের আটক করা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, তারা কেউই সঠিক প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি। তারা শুধুমাত্র শিক্ষকদের সহায়তায় সাজেশন ও কিছু এমসিকিউ প্রশ্ন তৈরি করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছিল। এবছর যাতে কোনো ভুল প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে না পারে সে জন্য বিটিআরসির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। কোনো জায়গায় এ ধরনের প্রশ্ন ফাঁসের বিষয় নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বিটিআরসির মাধ্যমে সেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকেদের জানান, কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। সচিবের ফোন ব্যবহারেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাকে অবশ্যই ছবি তোলা যায় না এমন ফোন ব্যবহার করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
দেশের মোট ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তিন হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে ২ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তত্ত্বীয় চলবে। ৪ মার্চ ২০১৭ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত বেসিক ট্রেডসহ এসএসসির সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম