ট্রাম্প অভিবাসী নিষিদ্ধে অস্ট্রিয়ায় আটকা ৩০ ইহুদি ও খ্রিস্টান ইরানি নাগরিক
রাশিদ রিয়াজ: তারা যাচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ইরান থেকে ৩০ জন ইহুদি ও খ্রিস্টান নাগরিক মাঝপথে যখন অস্ট্রিয়ায় পৌঁছলেন তার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাতটি মুসলিম দেশের অভিবাসীকে তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসলেন। ওই সাত দেশের মধ্যে ইরান অন্যতম। ব্যস আটকে পড়লেন অস্ট্রিয়াতেই ৩০ ইরানি নাগরিক। তারা জানান, অস্ট্রিয়ার ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেতে এমন শ’তিনেক নাগরিক যাদের সবাই ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান এখন আর যাত্রা করতে পারছেন না।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র থমাস স্নোয়েল এএফপিকে বলেছেন, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প যে ৭টি মুসলিম দেশের অভিবাসীকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে তা জানতে পারেন। মুসলিম দেশ হলেও অন্যধর্মের অভিবাসীকেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। এর ফলে ইরানের অস্ট্রিয়া দূতাবাস যেসব ইরানি নাগরিকদের ভিসা দিচ্ছে তারা যুক্তরাষ্ট্র গমনে যাত্রা শুরু করতে পারছেন না। তারা এখন অস্ট্রিয়ায় আগামী ৬ মাস পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। এ সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করার জন্যে আবেদন করতে পারবেন। গত ৩০ বছর ধরে এ ধরনের স্কিম চালু রয়েছে জানিয়ে স্নোয়েল আরও জানান, প্রতিবছর হাজার খানেক মানুষ এ ধরনের স্কিমের আওতায় আসেন।
তবে অস্ট্রিয়ায় আটকে পড়া ৩০ ইরানি নাগরিকের ভবিষ্যৎ কি তা কেউ বলতে পারছেন না। গত শুক্রবার ট্রাম্প সিরীয় শরণার্থীদের অনির্দিষ্টকাল ও ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের ১২০ দিনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে বলছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি পেয়েছে তারা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
এর আগে জাতিসংঘের শরাণার্থী সংস্থা ট্রাম্পের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করে বলেছে শরণার্থীদের জাতি ধর্ম বর্ণ বিবেচনা না করে তাদের রক্ষা ও সহায়তায় সমান সুযোগ দেওয়া উচিত। দি লোকাল