পাখিদেরও আছে অর্থনৈতিক পছন্দ!
রাশিদ রিয়াজ: ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার একদল বিজ্ঞানী দাবি করছেন, পাখিরাও ভাল অর্থনৈতিক পছন্দ করতে পারে। অর্থাৎ অর্থনীতি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে পাখি। পাখিদের মধ্যে কাকাতুয়া সবচেয়ে এদিক থেকে বুদ্ধিমান বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন। তোতা পাখিও বেশ বুদ্ধিমান। এদুটি পাখি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে। এ দুটি প্রজাতির পাখির বুদ্ধিমত্তার হার সর্বোচ্চ। প্রথমত: পাখিরা প্রমাণ করেছে যে, তারা প্রাকৃতিক মনোবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে নগদ কোনো কিছু বা সুবিধা পাওয়ার চেয়ে তার চেয়েও বড় কিছু পেতে ধৈর্য ধরার মতো বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত পাখিদের আছে। বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার কাকাতুয়া দেখিয়েছে কেউ যদি তাদের প্রতি সুআচরণ করে তাহলে সেও বিনিময়ে অতিরিক্ত কিছু করতে চায়। এতে যদি পাখিটি পুরস্কৃত না হয় তাহলে সে তা উপলব্ধি করতে পারে।
বিভিন্ন প্রকার খাবার ও যন্ত্রপাতি দিয়ে পাখিদের পছন্দ দেখার সময় দেখা গেছে তারা এসব জিনিসের ভালমন্দ বুঝতে পারে এবং তা পৃথকভাবে ভাগ করে একটি বাক্সে রাখতে জানে। খাবার আয়ত্তে আনতে লাঠির ব্যবহার কিংবা কোনো টিউবে একটি বল ফেলে বুদ্ধির সঙ্গে খাবার কাছে আনতে সে মাথা খাটায়। খুব সাবধানে বিবেচনা করেই পাখি সিদ্ধান্ত নেয় এবং
এব্যাপারে নমনীয়তা দেখায়। নতুন কোনো পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা ভেবে সাড়া দেয় পাখিরা। যা দেখে মনে হয় এসব প্রবৃত্তি পাখিদের শুধু আচরণে সীমাবদ্ধ নয়, তারা তা ঠকে বা শিখে বুদ্ধি অর্জন করেছে।
উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, পাখিকে একটি যন্ত্র ও একটি ক্যান দেওয়া হয় তাহলে সে প্রথমে বেছে নেবে যন্ত্রটি। কারণ ক্যানের ভিতর থেকে কাজুবাদাম বের করতে প্রথমেই যে যন্ত্রটি প্রয়োজন এটুকু বোঝার ক্ষমতা রাখে কাকাতুয়া। ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি ও ভেটিনারি ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার বিজ্ঞানী ইসাবেলি লনমার, অ্যালিস অয়ারসপার্গ ও থমাস বাঙ্গয়ার এ গবেষণায় অংশ নেন। দ্য লোকাল। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম