রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে থাকার যৌক্তিকতা আছে : বার্নিকাট
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে অবস্থানের অবশ্যই যৌক্তিকতা আছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের টেকনাফের লেদায় ও নয়াপাড়া অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর বার্নিকাট এই মন্তব্য করেন।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বসবাস করা এবং দেশটিতে তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বার্নিকাট বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের যৌক্তিক কারণ আছে। সেখানে তাদের শেকড়, জন্ম, বাড়িঘর সবই আছে। তারা তো ওই দেশেই থাকবে। বার্নিকাট রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে যুক্তলাষ্ট্রের সহযোগিতা করার কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান হওয়ার দরকার। আমরা এর সমাধান চাই। তিনি বলেন, গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বার্নিকাট দুইবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুব আন্তরিক।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টায় হ্নীলার লেদায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে পরিদর্শনে যান বার্নিকাট। এসময় তার সাথে ছিলেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ অফিস প্রধান পে পে কেবি ছিদ্দিকী, বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ প্রমুখ। উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা।
তিনি গত কয়েকমাসে এসব ক্যাম্পে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের মুখে তাদের নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের কথা শোনেন। এ সময় বার্নিকাট রোহিঙ্গা শিশুদের দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েন। ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে রাষ্ট্রদূত লেদার আইএমওর স্বাস্থ্য ক্লিনিকে কর্মরত এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এরপর বিকালে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। গত বছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ভেতরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। আর তখন থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম