ইমরুল শাহেদ: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নেইল গোরসাচকে মনোনয়ন দেওয়ার পর আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে। যেকোনো ইস্যুতে আদালতের রায়ই চূড়ান্ত এবং এজন্যই প্রশ্ন উঠেছেÑ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদেই গর্ভপাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও এলজিবিটিদের অধিকার সমুন্নত হতে পারে। এই প্রশ্ন বার্তা সংস্থা স্কাই নিউজের। কিন্তু কলরেডোর ডেনভারের বাসিন্দা নেইল গোরসাচের কি সম্পর্ক রয়েছে এলজিবিটি ইস্যুর সঙ্গে। বার্তা সংস্থা হেভিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নির্বাচনের সময় নেইল ভোট পাওয়ার জন্য এই ইস্যুতে তেমন একটা উচ্চবাচ্য করেননি। কিন্তু বিচারক হিসেবে এই ইস্যুতে তিনি কী মনে করেন। এসব ইস্যুতে তিনি কখনো তেমন একটা কথা বলেননি।
হেভির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এলজিবিটিদের অধিকার নিয়ে নেইলের হাতে কখনো কোনো মামলা আসেনি। সেজন্য এ ব্যাপারে তার মতামত কী তা জানা যায়নি। তবে দি পাবলিকেশন্স এলজিবিটি ন্যাশন উল্লেখ করেছে, অনেক আগে তিনি এ বিষয়টি নিয়ে একবার ন্যাশনাল রিভিউতে একটি লেখা লিখেছিলেন। সেটা ২০০৫ সালের কথা। এখন তার সে মতে পরিবর্তনও আসতে পারে। গোরসাচ সেই লেখায় এলজিবিটি ইস্যুটিকে যেমন উড়িয়ে দেননি তেমনি সমকামী বিয়েকে সমর্থনও করেননি। তিনি লিখেছেন, মার্কিন উদারপন্থিরা নির্বাচিত প্রতিনিধি ও ব্যালট বাক্সের চাইতে আদালতের দিকে ঝোকেন বেশি। বিচারক ও আইনজীবীদের উপর নির্ভর করেন। এর মধ্যে সমকামী বিয়ে থেকে আত্মহত্যায় সহায়তা করার সামাজিক ইস্যুগুলোও রয়েছে।
তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি রাজ্য সমকামী বিয়ের ইস্যুটিকে প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু সেখানে ভোটের ক্ষেত্রে এটাও ছিল একটা ইস্যু। উপসংহারে তিনি বলেছেন, উদারপন্থিদের এটা একটা ভুল ফ্যাশন।
উল্লেখ করার বিষয় হলো, ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দুই ঘণ্টা পরই হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে গর্ভপাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এলজিবিটি সংক্রান্ত পাতাগুলো বাতিল করে দেওয়া হয়। হলিউড লাইফে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন ওবামা প্রশাসনের অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছে এবং করছে।