উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ইদানিং স্কুলগুলোতে ছেলে-মেয়েদের আলাদা পড়াশোনার ব্যবস্থা। কম্পাইন্ড ক্লাস বা স্কুল নেই বললেই চলে। অথচ ষাটের দশকেও ছেলে মেয়েদের স্কুল ছিল একসঙ্গে। উপজেলা বা জেলায় সরকারি মাধ্যমিক স্কুল ছিল একটি দুটি করে। সেখানে ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে পড়াশোনা করত। আর এতে তাদের মধ্যে একসঙ্গে মেশার অভ্যাস গড়ে উঠে। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
একসঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েদের একের প্রতি অপরের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জন্ম নেয়। মেয়েদের ছেলে বিদ্বেষ এবং ছেলেদের মেয়ে বিদ্বেষ থাকে না। তাই ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের একসঙ্গে চলার অভ্যাস গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।
অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, আমরা অনেক বড় হয়েও ছেলেমেয়ে একসঙ্গে পড়েছি, খেলাধুলা করেছি। একসঙ্গে সংগঠন করেছি। কিন্তু এখন এসব একেবারেই দেখা যায় না। বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে আলাদা স্কুলে পড়ে। মেয়েরা মর্নিং শিফটে, ছেলেরা ডে শিফটে। মেয়েদের স্কুল আলাদা এবং ছেলেদের স্কুল আলাদা। আবার কোনো সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নেই। এক অন্য জগতে ঢুকে পড়ছে সব। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক তৈরিতে অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু