ডেস্ক রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর দুর্যোগ মোকাবিলায় অনেক এলাকায় ত্রাণ বরাদ্দ, বিতরণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়। এর সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকি চিহ্নিত করা, সচেতনতা ও সতর্কবার্তা প্রচারে ঘাটতি থাকার বিষয়টিও এসেছে ‘ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু: দুর্যোগ মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে। গতকাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রশংসা অর্জন করেছি, অর্জনও অনেক রয়েছে। স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সুশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা নিতেই এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবিলায় আক্রান্ত জেলায় খাবার, টাকা বরাদ্দ, আশ্রয় কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ ও মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াসহ সরকারের অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী নানা পদক্ষেপে অনিময়-বৈষম্য থাকায় ক্ষতিগ্রস্তরা এর সুফল পায়নি।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক জানান, সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও জনসচেতনতার অভাবে প্রাণহানি ঘটেছে। তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে ফিরে আসায় এটা হয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় গুণগত অনেক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে পছন্দসই এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে, ব্যক্তিগত স্বার্থ ও রাজনৈতিক প্রভাবে কোনো এলাকায় বরাদ্দ বেশি হয়েছে। স্বজনপ্রীতি করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা হয়েছে, ত্রাণ বিতরণে বৈষম্য হয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: এনামুল হক