এস এম নূর মোহাম্মদ: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বাংলায় আমরা ডিক্টেশন দেব। ওপেন কোর্টে সেটা রেকর্ডিং হয়ে অটোমেটিকালি প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে আসবে। আইটি সেক্টরে আমি বলে দিয়েছি। এই ডিভাইসটা যদি বের করতে পারি, তাহলে আশা করি বাংলায় আমরা রায় দিতে পারবো।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগে আমরা চেষ্টা করছি। বাংলায় জাজমেন্ট বেশকিছু বিচারকরা হাইকোর্টে দিচ্ছেন। সেগুলো প্রকৃতপক্ষে সেই রায় না। রায়ের ব্যাখ্যা দরকার। আমাদের মেইন আইনগুলো ইংরেজিতে। ব্যাখ্যাগুলো সব ইংরেজিতে। এগুলো করতে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সমিতির বিজয়া পুনর্মিলনী ও বাণী অর্চনা উদযাপন পরিষদের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, প্রথমত আমাদের বেঞ্চ অফিসার ছিল একজন করে। আমি এসে বাড়িয়েছি ৫/৬ জন করে। তাদের ট্রেনিং দিতে হবে। আমাদেরকে খুব তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি করতে হবে। মামলা যদি আমরা হিক করি, তাহলে এ বিচার ব্যবস্থা ভেঙে যাবে। তাই আমাদের প্রবলেম হচ্ছে। এই বিচার ব্যবস্থায় আমরা একটা মেকানিজম বের করার জন্য চিন্তা করছি।
গণমাধ্যমের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, কিছু মিডিয়া খুব ভাল কাজ করছে। দেশের উন্নয়নের সাথে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। যথেষ্ট মূল্যবান অবদান রাখছে। কিন্তু আমি মনে করি, মিডিয়া যা করছে সেটা পর্যাপ্ত নয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো কোনো অপরাধী যারা পাওয়ারফুল তাদের পক্ষে বেশ প্রভাবশালী আইনজীবীরা থাকেন। তাদের সঙ্গে আমাদের পিপি এপিপি সাহেবরা লড়েন। তাই প্রসিকিউশনের মামলা কন্ডাক্ট করতে বেশ ত্রুটি থেকে যায়। ইতোমধ্যেই বেশকিছু সেনসেশনাল মামলায় আমরা বাধ্য হয়ে খালাস দিয়েছি। আমাদের বিবেকের তাড়নার বাইরে আইনের বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না। ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি এবং প্রসিকিউশনে যারা থাকে এরা মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ। এটা আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
এসকে সিনহা বলেন, আমি ইদানিং মুফতি হান্নানের কেসের রায় পুলিশ এডমিনিস্ট্রেশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। এই মামলাতে ট্রায়াল কোর্টের রায়ে ত্রুটি ছিল, হাইকোর্টে মামলা ত্রুটি ছিল। সংশোধিত করে আমরা রায় দিয়েছি। এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ট্রায়াল কোর্টের ত্রুটি ছিল, হাইকোর্টে ত্রুটি ছিল, আমরা এটা সংশোধন করে দিয়েছি। বিশেষ করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায়, ক্রিমিনাল কনস্পাইরেসিতে কি ধরনের সাক্ষ্য দিতে হয় পুলিশ একেবারে জানে না। প্রসিকিউশনে যারা কন্ডাক্ট করে তারাও জানেন না। হাইকোর্টের বিচারকদের এই কারণে আমি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি। না হলে আমাদের জেনারেশনে সাংঘাতিক গ্যাপ হয়ে যাবে। সম্পাদনা: এনামুল হক