বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুসারে সরকার সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য।’ প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদের সদস্য নাজমুল হক প্রধানের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা
বলেন। তিনি বলেন, সকল নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের চাহিদানুযায়ী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন এবং ভোটাররা ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনোত্তর বিজয়ী-বিজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া-সহিংসতায় উদ্ভূত অনাকাক্সিক্ষত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও বিজয় মিছিলের বিষয়ে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনসহ তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সকল ধরনের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে দশম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা এবং সরকারি ব্যক্তিবর্গের নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে একটি আদর্শ আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করে। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো দলীয়ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত নারায়ানগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে প্রশংসিত নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনের কাজকে আরও গতিশীল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবন, কর্মকর্তা কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ভবন এবং মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি কার্যালয়ের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করেছে। সম্পাদনা: এনামুল হক