দুই বছর পর উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা
হাসান আরিফ: দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (সিইউএফএল)। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কারখানায় অ্যামোনিয়া এবং ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ইউরিয়া রিঅ্যাক্টরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ইতালিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে দুদফা মেরামত শেষে এটি চালু করা হচ্ছে। মেরামতের সময় এতে সম্পূর্ণ নতুন কুলিং টাওয়ার প্রতিস্থাপন এবং ইউরিয়া রিঅ্যাক্টর রিলাইনিং করা হয়েছে। কারখানাটি চালু হলে, দৈনিক দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে।
এছাড়া, গত বছর অক্টোবর মাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ সার কারখানাও আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎপাদন শুরু করবে। এ কারখানা থেকেও প্রতিদিন দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার পাওয়া যাবে। এদিকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ইউরিয়া সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত বিসিআইসির বিভিন্ন গুদামে ৮ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে।
একইসাথে জি-টু-জি পদ্ধতিতে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সার আমদানি অব্যাহত রয়েছে। মংলা বন্দরে একটি জাহাজ থেকে আমদানিকৃত সাড়ে ২৭ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার খালাসের কাজ চলছে। এছাড়া, আরও ৪২ হাজার মেট্রিক টন সার নিয়ে দুটি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
পাশাপাশি বর্তমানে বিসিআইসির সার কারখানাগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। সিইউএফএল এবং আশুগঞ্জ কারখানা উৎপাদনে গেলে দৈনিক আরও ৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া যোগ হবে।
২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার চাষী পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে বলে বিসিআইসি জানিয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক