সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা উন্মুক্ত করার অভিযোগ রিজভীর
কিরণ সেখ: সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা উন্মুক্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ভারতীয় হাইকমিশনারের সারদা পুলিশ একাডেমি পরিদর্শন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পার্শ্ববর্তী দেশের এক্সটেনশনে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে।
গতকাল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন বাহিনী সমূহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করছেন বর্তমান সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ কাছাকাছি একটি দেশের কূটনীতিকরা। এটি কিসের আলামত? সরকার নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য দেশের সমর্থন নিতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের পরিণতি এখন বিষম দূর্বিপাকের মধ্যে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরনির্ভরশীলতার কারণেই প্রভুদের কাছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তাকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। বলেন, প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য নানা উপহারে ভুষিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রাচারের প্রকরণ অমান্য করে। আর এর বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হচ্ছে লবডঙ্কা।
বাংলাদেশকে ভারতের হাতে উজাড় করে দিচ্ছে সরকার মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে পুরোদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। কোথাও ট্রানজিটের নামে করিডর দিয়ে, কোথাও মালামাল পরিবহনের নামে নৌ ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে। বাংলাদেশের স্থলপথ, নৌপথ এমনকি আকাশ পথকে তারা অবাধে ব্যবহার করলেও বিনিময়ে আমরা কিছুই পাচ্ছি না।
গত ৫ জানুয়ারি ভারত সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি আটকে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপর থেকে চরম বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। এব্যাপারে তাঁবেদার সরকারের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। উল্টো তাঁবেদার সরকার হাজার হাজার কোটি ব্যয় করে সড়ক মহাসড়ক তৈরি করে প্রতিবেশী দেশের পণ্য পরিবহনে সুবিধা করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির। সম্পাদনা: এনামুল হক
বিএনপির এ মুখপাত্র অভিযোগ করেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য সরকার জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিচারিক প্রক্রিয়ার নামে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অমানবিক আক্রমণ চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কবজা করে সরকারি বন্দুক গোলাবারুদের অধিকারী হয়ে সকলকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে- এ বিনা ভোটের সরকার। নাজেহাল করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দুই বার আদালতে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এটা সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বর্ধিত প্রকাশ।