সাঈদ গৃহবন্দি হতেই নাম বদলে জামাত হলো ‘তেহরিক আজাদি জম্মু-কাশ্মীর’
ডেস্ক রিপোর্ট : বিপদ আসন্ন, সম্ভবত এমনটা আগেই আঁচ করতে পেরেছিল। সেজন্য গ্রেফতারির সপ্তাহখানেক আগেই ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে’ তেহরিক আজাদি জম্মু ও কাশ্মীর নামে সংগঠন চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছিল হাফিজ মহম্মদ সাঈদ। তার দুই সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের ওপর সরকারি বিধিনিষেধ চালু হলে কী করে নতুন চেহারায় আত্মপ্রকাশ করতে হবে, সেই ছক সাজিয়েই রেখেছিল ২০০৮-এর মুম্বাই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাথা হাফিজ। এবিপি
সরকারি সূত্রেই শোনা যাচ্ছে, সাঈদকে গৃহবন্দি করে সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হতে না হতেই জামাত নাম বদলে হয়েছে তেহরিক আজাদি জম্মু ও কাশ্মীর (টিএজেকে) ! ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ‘কাশ্মীর দিবস’ পালিত হয়। টিএজেকে দিনটি উদযাপনের তোড়জোড় করছে। লাহোর সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে তাদের ব্যানার দেখা যাচ্ছে। রোববার সন্ধ্যার প্রার্থনার পর কাশ্মীর নিয়ে বড় সম্মেলনের আয়োজনও করতে পারে হাফিজের দলবল। তাদের কাজকর্মের মূল ঘাঁটি লাহোর। সেখানে ও পঞ্জাবের অন্যত্র ডোনেশন সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ফের চালু করেছে তারা। স্থানীয় মিডিয়ার খবর, নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ধরপাকড়ের মধ্যেই সাঈদের নেটওয়ার্কের স্বেচ্ছাসেবকরা শুক্রবার পাঞ্জাবের নানকানা সাহিবের কাছে রাভি নদীতে প্রায় ১০০ যাত্রী সহ একটি নৌকো ডুবে গেলে উদ্ধার অভিযানে সামিল হয়।
যদিও স্থানীয় পুলিশ ও আইন প্রনয়নকারী সংস্থাগুলি সাঈদের নেটওয়ার্কের ওপর কড়া নজর রাখছে, যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জনৈক পুলিশ অফিসার। তিনি বলেছেন, এটা খুবই সংবেদনশীল ইস্যু। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের দায়বদ্ধতা পালনে, সাঈদের অনুগামীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার মোকাবিলা করতে হিসাব কষে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, সাঈদ গৃহবন্দি হওয়ার পরই জামাত ও ফালাহ-র বিভিন্ন কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৭-এর সন্ত্রাস দমন আইনে দুটি সংগঠনকেই নজরদারির আওতায় ফেলা হয়েছে। সাঈদ একা নয়, আবদুল্লা উবেইদ, জাফর ইকবাল, আবদুর রেহমান আবিদ ও কাজি কাসিফ নিয়াজ, তার চার সঙ্গীকেও গৃহবন্দি করা হয়েছে। সাঈদ ও ৩৭ জনের নাম একজিট কন্ট্রোল লিস্টেও ফেলা হয়েছে, তারা যাতে পাকিস্তান ছেড়ে পালাতে না পারে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ