এতিম শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র
আরিফুর রহমান : বরগুনায় এতিমখানার নামে গরীব অসহায় এতিম শিশুদের বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। বছরের পর বছর এতিম শূন্য থাকলেও সমাজসেবা অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দ তুলে নিচ্ছে তারা। অবশ্য সমাজসেবা কর্তৃপক্ষের দাবি, বিভিন্ন চাপের মুখে বরাদ্দ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বরগুনা জেলার সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্ত এতিমখানার তালিকার ৬ নম্বরে থাকা আংগারপাড়া হাসেমিয়া শিশু সদনকে ১৮ জন এতিমের জন্য দুই কিস্তিতে বছরে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এ বছর সমাজসেবা অধিদফতরের তদন্ত প্রতিবেদনে এতিমখানাটিতে ৪০ জন এতিম আছে ও এর কার্যক্রম সন্তোষজনক উল্লেখ করা হয়। তবে ২০ জন এতিমের জন্য বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়।
কিন্তু বাস্তবে এতিমখানাটিতে গিয়ে একটি সাইনবোর্ড ও জরাজীর্ণ ভবন ছাড়া কিছুই নেই। সময় সংবাদের ক্যামেরা দেখে আঁতকে ওঠেন এতিমখানার পরিচালক মাইনুল। একই অবস্থা তালিকার ১৯ নম্বরের ইঞ্জিনিয়ার সুলতানা সালেহ শিশু সদন,তালিকার ২ নম্বরের পূর্ব হাজারবিঘা বটতলা শিশু সদনসহ অধিকাংশ এতিমখানারই। এতিমখানা পরিচালকদের দাবি, সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেন তারা। তারা বলেন, রিপোর্ট বিভিন্ন ভাবে দেখা হয়। না হলে সমস্যা হয়। এতিম আছে তারা বিভিন্ন জায়গাতে গেছে। আবেদন নিবেদন করা লাগে। এমপি মধ্যে সুপারিশের মাধ্যমে আবেদন করা হয়।
এদিকে এতিম শিশুরা ছুটিতে আছে বলে এতিমখানা পরিচালকরা দাবি করলেও এলাকাবাসী বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ এগুলোর কার্যক্রম। এলাকাবাসী বলেন, আগে ছিল কিন্তু এখন কোন এতিম এখানে নাই। তবে সমাজসেবার কর্মকর্তারা এ জন্য দোষটা চাপিয়ে দিলেন অন্যদের ঘাড়ে। জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশ আর উপর মহলের চাপে বরাদ্দ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলেন, তাদের হাত এত লম্বা তারা আমাদের সুপারিশ ব্যতিরেকে বরাদ্দ করিয়ে নিইয়ে আসে।
জেলার ১শ ৩৫টি এতিমখানায় ১ হাজার ৬শ ৬৪ জন এতিম শিশুর জন্য প্রতি বছর ১ কোটি ৯৯ লাখ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার। সূত্র : সময় টিভি