চুনারুঘাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছেই
মোঃ জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে হাটবাজার গুলোতে শাকসবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও চাল, আটা, ময়দা, পেয়াজ ও তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আবারো বাড়ছে হু হু করে । আরতদারী ব্যবসার নামে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা একক আধিপত্য সৃষ্টির মাধ্যমে হঠাৎ করে এসব দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের । মঙ্গলবার সকালে চুনারুঘাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা। চাল প্রতি কেজি মোটা ৩৮-৪০টাকা পূর্বে ছিল ৩৪-৩৭টাকা, মিনিক্যাট-৫০-৫৫ টাকা পূর্বে ছিল ৪৭-৫০টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০৫-১১০ টাকা পূর্বে ছিল ৯৫-১শটাকা, পামওয়েল ৮০-৮৫ টাকা পূর্বে ছিল ৭৩-৭৯টাকা, পিয়াজ ২০-২৫ টাকা পূর্বে ছিল ১৫-১৯টাকা, রসুন ১৬০-২০০ টাকা পূর্বে ছিল ১৫০-১৯০টাকা। অধিকাংশ হোটেল, বেকারী ও মিষ্টির দোকানে সয়াবিন তেলের পরিবর্তে নি¤œমানের পামওয়েল তেল ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাছের মধ্যে রুই মাছ মাঝারী ১৪০-১৮০ টাকা পূর্বে ছিল ১৩০-১৭০টাকা, বোয়াল মাঝারী ৪০০-৫৫০ টাকা পূর্বে ছিল ৩৫০-৪০০টাকা, শিং মাছ দেশি ৪০০-৬০০ টাকা পূর্বে ছিল ৩৫০-৪৫০টাকা, লতা ৩৬-৩৮টাকা পূর্বে ছিল ৩০-৩৫টাকা, বেগুন-২৫-৩০ টাকা পূর্বে ছিল ২০-২৫টাক, টমেটো-২৫-২৮টাকা পূর্বে ছিল ২০-২৫টাকা, কাচাঁমরিচ-৫০-৬০ টাকা পূর্বে ছিল ৪০-৫০টাকা। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আবারও আরেক দফায় বেড়েছে। ভোক্তভোগীরা জানান, গ্রাম অঞ্চলে কৃষকদের ফসল চুনারুঘাট সদর বাজারে নিয়ে আসলেও আরতদারীদের প্রভাব বিস্তারের কারণে খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারছে না।