ভারতের সঙ্গে দোস্তি বাড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা, গোঁস্যা চীনের
ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রশ্নে পাকিস্তানের কাঁধেই হাত রেখেছিল চীন। তবে তা করতে গিয়ে অনেক বন্ধুকে হারাতেও হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের বিরাগভাজন হয়েছে বেজিং। এদিকে ভারতের সঙ্গে ক্রমশ বন্ধুত্ব দৃঢ় করছে শ্রীলঙ্কা। আর তাতেই বেজায় গোঁসা চিনের। সম্প্রতি সে দেশের মুখপত্রে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতের চাপে পড়েই বেজিংয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিদিন
চীন-মার্কিন সম্পর্কের রূপরেখা যত বাদলাচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভরকেন্দ্রগুলোও তত সরছে। তার ফলেই অনেকটা কাছাকাছি এসেছে ভারত শ্রীলঙ্কা। গতবছরই শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই বন্ধুত্ব জোরদার। এরপর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলন ভারত বয়কট করলে, সন্ত্রাস বিরোধিতার প্রশ্নে পাশে এসে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কাও। সুতরাং ভারত-শ্রীলঙ্কা বন্ধুত্ব যে দৃঢ় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি তার আরও প্রমাণ দিয়েছে পড়শি দেশটি। চীনা মিডিয়ায় প্রকাশ, শ্রীলঙ্কার তরফে সাফ জানানো হয়েছে কোনওরকম সামরিক সাহায্য তাদের থেকে পাবে না চিনি। দুই দেশের ক্ষেত্রে যে সাধারণ সুযোগ সুবিধা চালু আছে, তা সামরিক স্বার্থে ব্যবহার করারও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ ভারতকে অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে কোণঠাসা করতে চাইলেও শ্রীলঙ্কার জলপথ ব্যবহার করতে পারবে না চীন। যা ভারতের কাছে অনেকটাই স্বস্তির। চীনের অভিযোগ, ভারতের চাপে পড়েই চীনের বন্দর গড়ার কাজে বাধা দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে পাকিস্তানের গদর বন্দর তৈরির সময়ও কথা রাখেনি চিনি। ব্যবসার কাজে লাগানোর পরিবর্তে তা ব্যবহার করা হয়েছে সামরিক কাজকর্মেই। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আগেবাগে সতর্ক শ্রীলঙ্কা। যদিও শ্রলীঙ্কার নিষেধে ভারতের উপরই চটে লাল চীনা মিডিয়া। তাদের দাবি, ভারত মহাসাগরের উপর যাতে কর্তৃত্ব না হারায় তাই ভারতই শ্রীলঙ্কার উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
যদিও অবস্থানগত সুবিধার জন্যেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এখনই কোনও বৈরিতার সম্পর্কে যেতে নারাজ চীন। বরং ব্যবসা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক দোস্তি বাড়িয়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সম্পাদনা: মাসুম মুনাওয়ার