আখাউড়ায় অধিকাংশ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার, শহীদ দিবসে দায়সারা অনুষ্ঠান আয়োজনকেই বলছে শিক্ষার্থীরা ২১ শে ফেব্রুয়ারি। হাতে গোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া উপজেলার বেশীর ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ দিনটিকে পালন করছে বন্ধের দিন হিসাবে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে আরো অন্ধকারে। সরকারি ছুটির দিনটি তারা অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো খেলাধুলা করে কাটিয়ে দেয়। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১টি কলেজ ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬টি মাদ্রাসা ও ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, আছে অর্ধশতাধিক কিন্ডার গার্ডেন স্কুলও। এরমধ্যে ৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নেই। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন শহীদ মিনারের সাথে পরিচিত হতে পারছে না তেমনি শহীদ মিনার না থাকায় মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেও পারছে না।
তবে শিক্ষকরা জানায় সরকারি ভাবে উদ্যোগ না নেওয়ায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। তবে দিবসটি উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পৌর শহরের শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একটি চারকোণা শহীদ মিনার রয়েছে, সেটিও অযতœ-অবহেলায় পড়ে আছে। আমোদাবাদ শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার না থাকার কারণে আমরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারি না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুজ্জমান বলেন, যেসব স্কুলে শহীদ মিনার নেই আমি সেইসব বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে বলেছি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য, উপজেলা প্রশাসনের কাছে কোন বরাদ্দ নেই। যেগুলোতে আছে সেইগুলোকে মেরামত করতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা: শাহীন আলম