সুসম্পর্কের প্রত্যাশায় চীনা প্রেসিডেন্টকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি
জাহিদ আল রাফি: চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার প্রত্যাশায় দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শি এর নিকট এই প্রথমবার বার্তা পাঠালেন ট্রাম্প।
গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ট্রাম্প তার বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। চীন- যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার কথা বলেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে বসে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে কথা বললেও চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ এখন পর্যন্ত হয়নি।
নির্বাচনের আগে চীনের বাণিজ্যিক ও রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাতে চীনের কূটনৈতিকদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছিল। চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে ট্রাম্পের এই বার্তাও চীনের কূটনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি করেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীনা সাগরের সংবেদনশীল বিষয়ে বেইজিংকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তিসাই ইয়ং ওয়েনের ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপে ক্ষুব্ধ হয়েছিল চীন।
চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন দেশ হিসেবে ঘোষণা করলেও। পরবর্তীতে তাইওয়ানকে একত্রে নিয়ে আসে চীন। ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেনি। সেই প্রথা ভেঙ্গে ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি চীন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে মিলিত হয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উন্নয়নমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান।
হোয়াইট হাউস জানায়, বার্তায় ট্রাম্প চীনের বাসিন্দাদের তাদের নতুন বছরের উৎসব ‘ইয়ার অফ দ্য রোস্টার’র প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে ট্রাম্প তার টুইটারে ‘এক চীন নীতি’র তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্প চীনের এ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে ২০ জানুয়ারি অভিষেকের পর ট্রাম্প এখন চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ ও উন্নয়নমূলক সম্পর্ক স্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন। বিবিসি ও সিএসবি নিউজ, সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ