প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি পারটেক্স গ্রুপের পরিচালক ও রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে
মামুন খান: রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী এবং পারটেক্স গ্রুপের পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামি শওকত আজিজের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে যে কোনো ২ দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে আসামি আজিজকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বারডেম হাসপাতালে প্রিজন সেলে চিকিৎসা এবং আসামি ইকবালকে প্রথম শ্রেণীর কয়েদির মর্যাদার বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেওয়া হয়। রাজধানীর পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির এই মামলায় এর আগে বুধবার রাতে শওকত আজিজ ও ইকবাল উদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করে দুদক। বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস আসামিদের মধ্যে ইকবালকে কারাগারে পাঠানোর এবং শওকত আজিজের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
দুদকের পক্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন মাহমুদ এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্লাহ হিরু, হোসেন আলী খান হাসান রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, দুদকই তর্কিত এই প্লট রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার জন্য শওকত আজিজকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এখানে আসামি হলে দুদকের হওয়া উচিত। শওকত আজিজ কোনো বেআইনি কাজ করেনি। এছাড়া আসামি অত্যন্ত অসুস্থ তার হার্টে ৩টি রিং পরানো আছে। দুই ঘণ্টা পরপর তাকে নেবুলাইজার নিতে হয়। তাই রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নাই। কারাগারে পাঠানো হলে চিকিৎসা ব্যাহত হবে।
ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত সময়ে রাজউকের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর শওকত আজিজ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) পরিচালক, অ্যাম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এবং শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী