ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রে গত ২২ বছর ধরে বসবাস করা মেক্সিকোর এক নারীকে বিতাড়িত করা হয়েছে। অভিবাসন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি। গুয়াদালুপে গার্সিকা দে রায়োস নামে ৩৬ বছর বয়সী ওই নারী মাত্র ১৪ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বিডিনিউজ
বুধবার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে হাজিরা দিতে এলে গুয়াদালুপেকে আটক করা হয়। গুয়াদালুপের বিতাড়ন আটকাতে বুধবার রাতে অভিবাসন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের সময় সাত জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে দুই সন্তানের জননী গুয়াদালুপেকে অ্যারিজোনার নগালেস থেকে দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা তাকে বহনকারী গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধার মুখে তাদের পিছু হটতে হয়। গুয়াদালুপের যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ১৪ বছর বয়সী মেয়ে জ্যাকুলিন বলেন, “দেখুন আমার মা ওই ভ্যানে…এটা ব্যাখ্যাতীত। এটা সত্যিই হৃদয়বিদারক।’ “কারও কাছ থেকে তার মাকে দূরে সরিয়ে নিলে যে কষ্ট হয় অথবা দূরে যেতে বসা মায়ের স্যুটকেস গোছানোর যে কষ্ট, কাউকে যেন সেই যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে না হয়।’
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৮ সালে গুয়াদালুপের কর্মস্থলে এক অভিযানে গ্রেপ্তার হন হন তিনি। ভুয়া কাগজপত্র তৈরির জন্য নিজের পরিচয় গোপন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। কিন্তু প্রতি ছয় মাসে স্থানীয় আইসিই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার শর্তে তিনি এতো দিন অ্যারিজোনায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু বুধবার পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী তিনি আইসিই কার্যালয়ে হাজিরা দিতে গেলে তাকে আটক করা হয়। তার মাত্র একদিন আগে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই আদেশ বলা হয়, বৈধ কাগজপত্র বিহীন অভিবাসী যারা কোনো েেফৗজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতাড়ন করা হবে।
গুয়াদালুপের আইনজীবী হতাশা ভার কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা এখন একটি নতুন যুগে বাস করছি, অভিবাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের যুগ এটা।’ এ বিষয়ে আইসিই মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘গার্সিয়া এর আগে পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশ ধারণের অপরাধে দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন। তাকে বিতাড়নের জন্য আদালতের আদেশের অপেক্ষা ছিল, যেটা ২০১৩ সালের জুলাইয়ে চূড়ান্ত হয়ে যায়।’
‘ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে, সেখানেও তার যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি মেলেনি। অভিবাসন আদালত থেকে যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আদেশ এসে গেছে তাদের খুঁজে বের করে বিতাড়নের কাজ শুরু করবে আইসিই।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ