এম রায়হান চৌধুরী, চকরিয়া(কক্সবাজার) : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের হতদরিদ্র ভূমিহীন ৪৮টি পরিবারের মাঝে অবশেষে খুশির ঝিলিক পড়েছে। তারা এতদিন সরকারি খাস জমিতে বসতি গড়ে তুলে জীবন ধারণ করলেও দীর্ঘ কয়েকযুগ পর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদ্যনতায় মাথা গোঁজার ঠাই হিসেবে অবশেষে নিজের সেই বাড়িভিটার দলিল হাতে পেয়েছে। দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভুমিহীন এসব পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত খাসজমির দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হয়েছে।চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিস মিলনায়তনে খাসজমির দলিল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ভুমিহীন এসব পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যদের মাঝে দলিল হস্তান্তর করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.দিদারুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের কাননগো শান্তি জীবন চাকমা, প্রধান সহকারী কর্মকর্তা মিলন কান্তি দাশ, নাজির তপন কান্তি পাল, সার্ভেয়ার মো.শাখাওয়াত হোসেন ও পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা খাস জমি বন্দোবস্তি কমিটির সদস্য সচিব মো.দিদারুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নের ৪৮টি ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে মোট ৬একর ১৮ শতক কৃষি খাস জমি বন্দোবস্তি দেয়া হয়েছে। এসব জমি পেতে উপকারভোগী পরিবার গুলোকে একটি টাকাও সরকারকে দিতে হয়নি। জমি রেজিস্ট্রিতে শুধুমাত্র ১শ টাকা খরচ করতে হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাস জমি বন্দোবস্তি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সহায়তায় এক বছর যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নের ৪৮টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে কৃষি খাস জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ছিল দেশে যাতে কোন পরিবার ভুমিহীন না থাকে। সেজন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের খাস জমি খুঁজে বের করে ওইসব জমিতে পর্যায়ক্রমে ভূমিহীন পরিবারদের মাঝে বন্টন করে বরাদ্দ দেয়া হবে।উপজেলার কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিদারুল হক সিকদার বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত মোতাবেক আমার ইউনিয়ন থেকে ৪৮টি হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসের আওতায় খাসজমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী পরিবার গুলো মাথা গোঁজার ঠাই হিসেবে বাড়িভিটার দলিল হাতে পেয়ে এখন খুশিতে পঞ্চমুখ। সম্পাদনা: মুরাদ