পরাগ মাঝি: বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপায় এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা নাসা বিজ্ঞানীদের। আর এ ধরনের অনুসন্ধান চালাতেই ইউরোপা উপগ্রহে একটি এয়ারক্রাফট পাঠাতে প্রাথমিক কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। পৃথিবীর বাইরে একমাত্র ইউরোপাই হতে পারে এলিয়েন বসবাসের সম্ভাব্য স্থান বলে মনে করছে মহাকাশ সংস্থাটি। কারণ ওই উপগ্রহটির পৃষ্ঠদেশের নিচেই রয়েছে গভীর সমুদ্র। ধারণা করা হচ্ছে ওই সমুদ্রে যে পরিমাণ পানি আছে তা পৃথিবীর মোট পানির চেয়েও দ্বিগুণ। ইতোপূর্বে ইউরোপার সমুদ্র নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, সেখান থেকে কয়েক মাইল উঁচু বাষ্প উদগত ধূম সবসময় বিরাজ করে।
বর্তমান সময়ে ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে ইউরোপাতেই নাসা অনুসন্ধান চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রাণের সন্ধানে ১৯৭০-এর দশকে মঙ্গলগ্রহে চালানো ভাইকিং মিশনের পর ইউরোপায় প্রাণের অনুসন্ধানই সর্বশেষ। দূর গ্রহের দূরতম এই উপগ্রহটি বসবাসের উপযোগী কি-না তারও অনুসন্ধান চালাবেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত নাসা বিজ্ঞানীরা ইউরোপায় কিভাবে তাদের যান অবতরণ করাবেন তা নিয়েই পরিকল্পনা করছেন। যেহেতু ওই উপগ্রহটির কোনো বায়ুমন্ডল নেই সেহেতু সেখানে প্যারাস্যুট ব্যবহার করা যাবে না। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ২০৩১ সালের মধ্যেই তারা ইউরোপায় পৌঁছতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও শনি গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান উপগ্রহ এনকেলেডাসকে নিয়েও নাসা বিজ্ঞানীরা তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। কারণ এই উপগ্রহের অভ্যন্তরেও রয়েছে বিশাল জলরাশি। দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট