এইচএম দেলোয়ার: দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ চট্টগ্রাম শাহ আমানত ও সিলেট ওসমানি বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের ইন্টারগেশন সেল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার বিদেশগামী যাত্রীকে ইন্টারগেশন সেলের আওতায় এনে সেবা করছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। শুধু শাহজালাল বিমানবন্দরেই বছরে প্রায় ৫২ লাখ বিদেশগামী যাত্রীকে ইমিগ্রেশন সেবা এবং সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ইন্টারগেশন করা হচ্ছে। সে হিসাবে বছরে ৬৫ লাখ বহির্গমন যাত্রীকে ইন্টারগেশন সেলের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও ইমিগ্রেশন সেবা দিচ্ছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এই ইন্টারগেশন সেলের মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী। বিভিন্ন বিমানবন্দরে সিনিয়র এএসপি পদ মর্যাদার ওসি ইমিগ্রেশন তিন শিফটে তিনজন ইন্টারগেশন সেলের দায়িত্ব পালন করছেন। বিমানবন্দর ছাড়াও যশোর বেনাপোল স্থল বন্দরেও ইমিগ্রেশন পুলিশের ইন্টারগেশন সেল চালু করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমান বন্দরের ‘এ’ পালার প্রধান সিনিয়র এএসপি আব্দুল্লাহ- আল মামুন বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্য থেকে যাদের সন্দেহ হয় তাদের ইন্টারগেশন সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের জীবনবৃত্তান্ত ভেরিফিকেশন করা হয়। পাশাপাশি সন্দেহ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর বিদেশে যাত্রা বিরতি করা হয়। এ ছাড়াও বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভিযোগ সেন্টারও চালু করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে ইন্টারগেশন সেল চালু করে যোগাযোগ করা হচ্ছে ইন্টারপোলের সাথে। এ ছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস, পাসপোর্ট অধিদফতর, জনশক্তি ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে যোগাযোগ করছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এ জন্য বিমানবন্দরে ও দেশের স্থলবন্দরে মানবপাচারকারী দালালচক্রের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্পাদনা: ইসমাঈল হুসাইন ইমু