শাহানুজ্জামান টিটু: নতুন নির্বাচন কমিশনারের নাম ঘোষণার পর আমরা যে বক্তব্য রেখেছিলাম, এটা সত্য হয়েছে। আমাদের কথার সেই সত্যই আবারো প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা আবারও নিশ্চিত করে বলতে চাই, এই নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কখনই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন না। কারণ তার (নুরুল হুদা) দলীয় পক্ষপাত জনগণের কাছে অত্যন্ত পরিষ্কার।
সম্প্রতি পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগ নেতাদের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে শুভেচ্ছা জানানো প্রসঙ্গে গতকাল বিকালে বাংলা একাডেমিতে গ্রন্থমেলায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এসএনসি লাভালিনের তিন কর্মকর্তাকে খালাস দেওয়ার প্রসঙ্গে অপর প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা কখনোই কোনো উক্তি করিনি। কোথায় কি প্রমাণ হলো এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, এটা নিয়ে কথা বলেছিলাম। বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বইমেলায় আসলেই মনে হয় ১৯৫২ সালে এই ভাষার মাসেই আমাদের মুক্তির সূচনাটি হয়েছিল। আমাদের অস্তিত্বের যে শেখর, তা এই মাসেই। এই বইমেলা নিঃসন্দেহে দেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশেষ করে সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ, গণতন্ত্রিক রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক চিন্তা-ভাবনার মধ্য দিয়ে আমরা বড় হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা সেই গণতন্ত্রকে যখন হারিয়ে ফেলি, আমাদের বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা ও একত্রিত হওয়ার স্বাধীনতা যখন হারিয়ে যায়, তখন আমরা আবার সেই ৫২ এর ভাষায় আন্দোলনের কথাই বারবার মনে করি। এই মাসে আমরা আবার নতুন করে অনুপ্রাণিত হই, নতুন করে আমরা অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে শপথ গ্রহণ করি।
ফাতেমা সালমের লেখা ‘সুন্দরী শূন্য’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়া রফিক মুহাম্মদের ‘পাখির আশা পাখির বাসা’ ও মাইদুর রহমান রুবেলের ‘ভূতের রাজ্য’ নামক বই দুটিরও মোড়ক উন্মোচন করেন বিএনপি মহাসচিব। সম্পাদনা: এনামুল হক