তরিকুল ইসলাম সুমন: সৌখিন ও পাখি প্রেমীদের জন্য ময়ুর পালনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তারা ইচ্ছে করলেই পুষতে পারবেন বনের ময়ুর। সম্প্রতি সৌখিন ও পাখি প্রেমীদের কাছে ময়ুর বিক্রির অনুমতি পেয়েছে ঢাকা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
বদ্ধ অবস্থায় চিড়িয়াখানায় ময়ুরের উৎপাদন বেশি এবং জায়গা সংকুলান না হওয়ার করণে চিড়িয়াখানার প্রয়োজনের অতিরিক্ত ময়ুর বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এসএম নজরুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আবহাওয়া ময়ুর পালনের জন্য উপযোগী এবং নিয়মিত ডিম দেয় এবং সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে এসব ডিম দিয়ে বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে ঢাকা চিড়িয়াখানায় ছোট বড় মিলিয়ে ২১৫টি ময়ুর রয়েছে।
সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ময়ুর সংগ্রহ করার জন্য আবেদন করেছেন। সম্প্রতি আহছানিয়া মিশনকে ৫টি ময়ুর সরবরাহ করা হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
বর্তমানে ঢাকা চিড়িয়াখানায় কেউ গিয়ে চাইলেই পাবেন না ময়ুর। এ জন্য অবশ্যই বন অধিদফতর থেকে ময়ুর বা পাখি পালনের অনুমোদন দিয়ে পাখি সংগ্রহের আবেদন করতে হবে। পাখি বা ময়ুর প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পরেই বন অধিদফতরের পরামর্শ অনুযায়ী পাখির বাসযোগ্য খাঁচা তৈরি করতে হবে। পরেই মিলবে ঢাকা চিড়িয়াখানার ময়ুর। এ জন্য আবেদনকারীকে প্রতিটির জন্য গুনতে হবে ২৫ হাজার টাকা।
অপরদিকে, ঢাকা চিড়িয়াখানায় এক বছর পরে নতুন করে ডিম পেড়েছে ইমু পাখি। গতবছর ইমু পাখির খাঁচায় সংস্কার কাজ করায় ডিম পাড়েনি বলে জানা গেছে।
ঢাকা চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এসএম নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৩টি স্ত্রী ও ২টি পুরুষ ইমু পাখি রয়েছে। সম্প্রতি ১১টি ডিম দিয়েছে ইমু পাখি। গত ১০ দিন ধরে পুরুষ ইমু ডিমে তা দেওয়া শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, মার্চ মাসের শেষে এ সব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে।
ঢাকা চিড়িয়াখানার পাখি শাখার কর্মকর্তা এম এ জলিল জানান, বেশ কয়েক বছর ইনকিউবেটর দিয়ে ডিম ফুটানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ডিম ফুটলেও সেগুলো বাঁচেনি। এ কারণে ডিমগুলো প্রাকৃতিকভাবেই ফোটানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩টি ডিম ভেঙে ফেলেছে। এখন আটটি ডিম রয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে বিরক্ত না করে এজন্য ডিমগুলোকে এক জায়গায় জড়ো করে আড়াল করে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ডিমের ওজন সাড়ে ৪ থেকে ৫শ গ্রাম। সম্পাদনা: এনামুল হক