সরকারকে জবাব চাইতে হবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমান বলেন, সরকারকে জবাব চাইতে হবে, অভিযোগ প্রমাণের আগেই বিশ্বব্যাংক কেন পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করলো। কানাডার আদালতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির মামলা খারিজ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আমাদের অর্থনীতিকে টেলিফোনে বলেন, অভিযোগের মাধ্যমে সরকার ও দেশের
জনগণের ওপর একটা কলঙ্কের কালিমা লেপন হয়েছিল। আজ এই রায়ের মাধ্যমে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।
ড. ইফতেখার বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, জল্পনা, গুজব ও রটনার উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। তার কোনো উল্লেখযোগ্য প্রমাণ না থাকায় যুক্তিগুলো আদালতের কাছে আমলযোগ্য হয়নি। ফলে মামলা খারিজ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রমাণিত হলো-বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ উত্থাপন করেছিল তা একেবারেই যুক্তিহীন।
ইফতেখারুজ্জমান বলেন, এখন বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে হবে কেন বিশ্বব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এধরনের যুক্তিহীন বিষয় নিয়ে এতো মাতামাতি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জবাব চাইতে হবে, কারণ বিশ্বব্যাংক নিজেরাই বাংলাদেশের জনগণকে জানিয়েছিল যে, তারা তদন্ত করে অভিযোগ পেয়েছে। আবার বিশ্বব্যাংকের সেই তদন্ত দল বাংলাদেশে এসে তদন্ত করেছে। সেই তদন্তেও তারা অভিযোগ অব্যাহত রেখেছিল। শুধু তাই নয়, অভিযোগ সম্পূর্ণ প্রমাণ হওয়ার আগে পদ্মা সেতুতে তারা অর্থায়ন বন্ধ করেছিল। আমাদের ব্যাখ্যা চাইতে হবে কেন তারা এই কাজ করেছে।
ড. ইফতেখার বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের এই আচরণ বলে তারা এক্ষেত্রে যে শূন্য সহিষ্ণুতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে, তারা শোপিস হিসেবেই দেখাতে চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, যুক্তিহীনভাবে প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের কোনো অধিকার বিশ্বব্যাংকের নেই। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই যুক্তিহীনভাবে অর্থায়ন বন্ধের অধিকার তাদের কেউ দেয়নি। সম্পাদনা: এনামুল হক