নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নিজে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত হলেও তিনি এই পদ্ধতির চেয়ে আইন থাকা জরুরি বলে মনে করেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যাদের উপর দেওয়া হবে তাদেরকে আইন করে নিয়োগ দেওয়া ভাল। এতে করে সমস্যা কম হবে। সমালোচনাও কম হবে।
এবার এত যাচাই ও বাছাই করে এবং রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে নাম নিয়ে ওই সব নামের মধ্য থেকে নাম বাছাই করে এরপর কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে। এরপরও বিএনপি কমিশনের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। তারা নানা সমালোচনা করছে। সেখানে তাদের নামও আছে। এরপরও বিতর্ক তোলাটা আমার মনে হয় ঠিক না।
তিনি বলেন, আমি নিজে মনে করি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের বাছাই ও নিয়োগ দেওয়ার জন্য কি নিয়ম অনুসরণ করা হবে এবং কিভাবে কাজ হবে সেই জন্য একটি আইন থাকলে ওই আইনের বলেই সবাইকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিবেন ও অন্যান্য কাজ হবে। সেখানে আপত্তি উঠার সুযোগ কমে যাবে। যদিও যারা আপত্তি করার তারা সব সময়ই করবে। কিন্তু একটা কাজ শুরু করার আগেই বিতর্ক তোলা ঠিক না। এই বিতর্ক বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আইনে সার্চ কমিটি করার কথা থাকলে সেটাও করা হবে। তবে এগুলো আইন করে উল্লেখ করা হলে সুবিধা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকার যদি আইন করার সিদ্ধান্ত নেয় সেই ক্ষেত্রে আমাদেরকে আইনের খসড়া তৈরি করে দিতে বললে আমরা তা দেব। কারণ আমি যতখানি জানি খসড়াটি আমরা তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দেব। এরপর বাকি কাজ মন্ত্রণালয় করবে। এরপরতো অনেক আনুষ্ঠানিকতা আছে।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নেওয়ার পর সব বিষয়ে জানতে পারবো। সেখানে যেসব কাজ করা প্রয়োজন সেগুলো করবো। তবে আমি গত কয়েকদিনে যতখানি বুঝেছি তাতে মনে হচ্ছে আগামী দিনের নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য যদি আইন করা হয় তাহলে ভাল হবে। যা হবার আইন অনুযায়ী হবে।