কাজ শেষের ১দিন পর উঠে গেল পিচ-খোয়া পালিয়ে বাঁচলো ঠিকাদার
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: কাজ শেষ করে যাওয়ার পর দিনেই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ব্রিক্স ফিল্ড থেকে আন্দুলবাড়িয়া ব্রিজ পর্যন্ত ১০ কি. মিটার পুরাতন রাস্তা কার্পেটিং’র কাজের মধ্যে মিনাজপুর স্কুল পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ শেষ করা সোয়া ৪ কি.মিটার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
২৩ জানুয়ারী রাস্তার কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ করে যাওয়ার পরদিনই রাস্তার পিচ-পাথর উঠে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এসব দেখে এলাকাবাসি ও পথচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ঠিকাদারের লোকজনকে ওই রাস্তার পিচ-পাথর উঠে যাওয়া স্থানে পুটিং দিতে দেখা গেছে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে পিচ-খোয়া উঠে ভাঙ্গা খানাখন্দ হওয়ায় এলাকার মানুষ চলাচলে দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে স্থানীয় এলজিইডি’র অর্থায়নে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি হাজী আলী আজগার টগর রাস্তার কার্পেটিং কাজের উদ্বোধন করে। ঠিকাদার ওয়াহেদ ও জাকাউল্লাহ পুরাতন রাস্তার পিচ-পাথর সম্পুর্ণ উঠিয়ে নিচের ইট উত্তমরুপে পরিস্কার না করে তড়িগড়ি করে বাঁকা ব্রিক্স ফিল্ড থেকে মিনাজপুর স্কুল পর্যন্ত সোয়া ৪ কি.মিটার রাস্তার কার্পেটিং শেষ করে। পরে কাজ শেষ করে ঠিকাদারের লোকজন চলে যাওয়ার পরদিন সকালে দেখা যায় রাস্তার অধিকাংশ স্থানে পিচ ও পাথর উঠে গেছে। ঠিকাদার আ.ওয়াহেদ সরকারী দলের লোক হওয়ার কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। এ রাস্তার অনিয়ম দেখতে সরেজমিন গিয়ে এলাবাসীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এসময় রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে পুন:নির্মাণের দাবি করেন।
এব্যাপারে কথা বলতে ঠিকাদার আ.ওয়াহেদকে ফোন করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাই লিখে কি হবে। কাজ ঠিক মতই হয়েছে, তার চেয়ে একটা বিকাশ নম্বর দেন আপনাকে কিছু টাকা দিচ্ছি। এদিকে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো.ওসমান গনি বলেন, চমৎকার কাজ হয়েছে, কোনরকমের অনিয়ম হয়নি বলেও তিনি ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই করেন। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ বলেন, এব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে যেয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: শাহীন আলম