তরিকুল ইসলাম সুমন: দেশব্যাপী নিরক্ষর থাকার ৪৫ লাখ মানুষকে অক্ষর জ্ঞান দেওয়ার জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)-এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাজ করবে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশব্যাপী এ কাজের জন্য এনজিও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এনজিওর পাশাপাশি কাজ করবে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সব সংগঠন এবং শিক্ষক ও শিক্ষিত সচেতন মানুষ। তিনি বলেন, সম্প্রতি দিনাজপুরের ‘ফুলবাড়িয়া ও পার্বতীপুর’ উপজেলাকে নিরক্ষর মুক্ত করা হয়েছে। এ কাজে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সব সংগঠন এবং শিক্ষক ও শিক্ষিত সচেতন মানুষ কাজ করছে। এ ব্যবস্থা ও উদ্যোগকেই পাইলট প্রকল্প ধরে দেশের নিরক্ষর সব মানুষকে এর আওতায় আনা হবে। এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো অর্থ ব্যয় না করেই বেসরকারি পর্যায়ে এ কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছেন।
গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৪৫২ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ টাকা দিয়ে দেশের ২৫০ উপজেলার ৪৫ লাখ মানুষকে অক্ষর জ্ঞান দিতে কাজ করবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে নতুন এই উদ্যোগ। স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, শিক্ষিত মানুষকে সম্পৃক্ত করে সারাদেশে কত মানুষ নিরক্ষর রয়েছে তা জরিপ করা হবে। এতে সরকারি কোনো অর্থ ব্যয় হবে না। জরিপ শেষে নিরক্ষর মানুষদের দেড় বছরের মধ্যে অক্ষর জ্ঞান দেওয়া হবে।
গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফুলবাড়িয়া ও পার্বতীপুর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার নিরক্ষর মুক্ত মানুষকে এক বছরের মধ্যে অক্ষরজ্ঞান দেওয়া হয়েছে। এ দু’টি উপজেলাকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ৪৫ লাখ লোককে নিরক্ষরমুক্ত করতে এনজিওকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। একনেকে পাস করা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এনজিও বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রকল্প সঠিক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্ধারিত ২৫০ উপজেলার নিরক্ষর মানুষের জরিপ থাকা প্রয়োজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ জরিপ কাজ শেষ করে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশব্যাপী নিরক্ষর মুক্তের কাজ শুরু করা হবে। সম্পাদনা: এনামুল হক