বিশ্বব্যাংকের শিরোনামহীন দুর্নীতিবিষয়ক ‘মিডিয়া স্টেটমেন্ট’ কিসের আলামত?
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে
প্রায় তেরো ঘণ্টার ব্যবধানে কানাডায় গত শুক্রবার, যা বাংলাদেশে পরদিন শনিবার ছিল, সেদিন পদ্মা সেতুর দুর্নীতি মামলায় দেশটির অন্টারিও প্রদেশের সুপিরিওর কোর্ট অব জাস্টিসের বিচারক ইয়ান নর্ডেইমার পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় সকল অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেন। একইসঙ্গে ওই মামলায় ‘ওয়্যারটেপ’ বা ‘আঁড়িপেতে শোনাকথা’র অভিযোগকে পুরোপুরিভাবে ‘গসিপ’ বা ‘চুটকি’ এবং ‘রিউমর’ বা ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন। সেটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি স্বস্তির সংবাদ হয়েছে।
কিন্তু ওই একই দিন, শনিবার অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের জন্য নিয়োজিত কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফ্যান ‘শিরোনাম ও উদ্দেশ্যহীন’ একটি ইংরেজি ‘মিডিয়া স্টেটমেন্ট’ গণমাধ্যমের জন্য তুলে ধরেন, যা বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে নিউজ সেকশনের প্রেস রিলিজ হিসেবে রয়েছে। সেটিতে সরাসরি পদ্মা সেতু বিষয়ক কোনো কিছুর উল্লেখ না থাকলেও দুর্নীতি বিষয়ক কথার উল্লেখ রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- সেই বক্তব্য কিসের ও কার জন্য, নাকি তা কোনো সাধারণ বক্তব্য? যদি ধরে নেওয়া হয় তা সাধারণ একটি বক্তব্য, তবে প্রশ্ন এটাও দাঁড়ায়- ওই নির্দিষ্ট দিনে দুর্নীতি সংক্রান্ত বক্তব্যটি গণমাধ্যমের জন্য বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ পরিচালক কিমিয়াও ফ্যান কেন দিলেন?
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১১ ডেটলাইনযুক্ত বক্তব্যে কিমিয়াও ফ্যান বলেছেন- ঞযব ডড়ৎষফ ইধহশ ঃধশবং ধষষবমধঃরড়হং ড়ভ ভৎধঁফ ধহফ পড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ রসঢ়ধপঃরহম ইধহশ-ভরহধহপবফ ঢ়ৎড়লবপঃং াবৎু ংবৎরড়ঁংষু. ঙহপব ধ ডড়ৎষফ ইধহশ রহাবংঃরমধঃরড়হ রং পড়হপষঁফবফ, বি ংযধৎব ভরহফরহমং রিঃয হধঃরড়হধষ ধঁঃযড়ৎরঃরবং ঃড় ফবঃবৎসরহব যিবঃযবৎ ড়ৎ হড়ঃ ঃযবৎব ধিং ধ ারড়ষধঃরড়হ ড়ভ হধঃরড়হধষ ষবমরংষধঃরড়হং. ঞযব ংঃধঃঁং ড়ভ ৎবভবৎৎধষ ধপঃরড়হং রং ঢ়ঁনষরংযবফ রহ ওঘঞ’ং ধহহঁধষ ৎবঢ়ড়ৎঃ. ঐড়ি বধপয ৎবভবৎৎধষ রং যধহফষবফ রং ধষধিুং ষবভঃ ঁঢ় ঃড় বধপয হধঃরড়হধষ ধঁঃযড়ৎরঃু. অর্থাৎ ব্যাংকের অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পে প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্বব্যাংক গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে। যখন সে বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের তদন্ত শেষ হয়, আমরা উদ্ঘাটিত তথ্য জাতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেই সঠিকতা নিরূপণের জন্য যাতে জাতীয় আইন লঙ্ঘন হয়েছে কিনা। সেটির সূত্রগত পদক্ষেপটি আইএনটির [পরিভাষাগত দিক থেকে যা বিশ্বব্যাংকের স্বাধীন দুর্নীতি দমনমূলক ইউনিট, ‘ইন্টেগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্সি (আইএনটি)] বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। সূত্রগত দিকটি কিভাবে নেওয়া হয়েছে, তা জাতীয় কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্টরাসহ সকল মিডিয়ার সুস্পষ্টভাবে জানা উচিত বৈ কি!
ই-মেইল: নঁশযধৎর.ঃড়ৎড়হঃড়@মসধরষ.পড়স